প্রতিনিধি ২ মে ২০২০ , ৫:২১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার পশ্চিম দোহালিয়া ইছামারি পাড়া গ্রামে এক রিকশাচালকের মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে নালিতাবাড়ি থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৭/৯(৪)(খ) ৩০ অপহরন পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা ও সহায়তা করার অপরাধে মামলা নং ০৯ তাং ৩০/৪/২০২০ ইং একটি মামলা রুজু করা হয়েছে ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে চাঁন মিয়া(৫০) একই গ্রামের বাসিন্দা মামলার বাদি হয়ে ওই গ্রামের মো: জহুরুল ইসলামের ছেলে মো: সোহাগ মিয়া(২৩) সহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনের নামে অভিযোগ দ্বায়ের করলে থানার অফিসার্স ইনচার্জ বশির আহম্মেদ বাদল আমলে নিয়ে মামলাটি রুজু করেন । রিকশাচালক চাঁন মিয়ার অভিযোগ তারা স্বামী/স্ত্রী ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে ।
করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে ঢাকা থেকে চলে এসে শুশুড় বাড়িতে আশ্রয় নেয় । তার ৪ মেয়ের মধ্যে ২ মেয়েকে বিবাহ দিয়েছে বাকি ২ মেয়ে সম্পা আকতার বয়স (১৪) ও সাথী আকতার (১০)কে নিয়ে পশ্চিম দোহালিয়া ইছামারি পাড়া মামার বাড়িতে বসবাস করে । এক মেয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালঝিকান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী । মামার বাড়ি থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ১নং আসামি প্রায়ই রাস্তায় তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়া অশালিন কথাবার্তা বলে উত্তাক্ত করে । তার কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামির অপকর্ম তার পিতা/মাতাকে জানাইতে চাইলে মেয়েটির ক্ষতি করার সময় সুযোগ খুজিতে থাকে সোয়াগ মিয়া ।
অবশেষে গত ২১/৪/২০২০ইং তারিখে মেয়ের চাচাতো মামা মামলার ৩নং স্বাক্ষীর বসতবাড়ীর দক্ষিন পার্শ্বে আঙ্গিনার চাঙ্গের উপর বসে থাকা অবস্থায় ১নং আসামি সহ অজ্ঞাত ২/৩জনকে সাথে নিয়ে মেয়ের মুখ গামছা দিয়ে চেপে ধরে জোড় পূর্বক মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপহরণ করে সোহেল মিয়ার বসতবাড়ির উত্তর পূর্ব পাশে জনৈক্য মমিন মিয়ার সেচ পাম্পের অনুমান ৫০ হাত পশ্চিমে বুরো ধান ক্ষেতের ড্রেইনের উপর নিয়ে যায় । সেখানে ধস্তাধস্তি করে ধর্ষণের চেষ্টা করে । এক পর্যায়ে মেয়েটির ডাক চিৎকারে আশ পশের লোকজন ও অন্যান্য সাক্ষীগণ টর্চ লাইটনিয়ে আসতে থাকলে আসামিরা টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে মামলার বিবরণে প্রকাশ করা হয়েছে ।
এ বিষয়টি সমাজে গন্যমান্য বাক্তিদের নিয়ে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও কোন সমাধান আসেনি । মেয়ের বাবা চাঁন মিয়া জানান আমি একজন রিকশা চালক ন্যায় বিচারের জন্যে আইনের আশ্রয় নিয়েছি ।
ছেলের বাবা জহুরুল ইসলাম বলেন তাদের সাথে আমরা কোন প্রস্তাব দেয়নি ঘটনা সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়েছে শুনেছি । এ ব্যাপারে ওসি বশির আহম্মেদ বাদল জানান অভিযোগ পেয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে মামলা নং ০৯ তং ৩০/৪/২০২০ইং । সাব ইন্সপেক্টর রিপন চন্দ্র সরকার মামলাটি তদন্ত করবেন বলে জানান ।