আন্তর্জাতিক

ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিজয় দাবি হামাসের

  প্রতিনিধি ২১ মে ২০২১ , ১২:৩২:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

 

ইসরাইল ও গাজার মধ্যে চলা ১১ দিনের সংঘর্ষে বিজয় দাবি করেছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার জ্যেষ্ঠ নেতা।  যুদ্ধবিরতির পরে স্থানীয় সময় শুক্রবার দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই বিজয় দাবি করেছেন।  গাজায় হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা খলিল আল হায়া বলেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে এটি আনন্দজনক বিজয়।’

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজার রাস্তায় উল্লাসরত ফিলিস্তিনিদের উদ্দেশে বাখার সময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের এই নেতা আরও বলেন, 0এটা বিজয়ের উচ্ছ্বাস।  ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ি পুনর্নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।  ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

 

ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মধ্যস্ততা করেছে মিসর।  এতে যুক্ত রয়েছে গাজার দ্বিতীয় শক্তিশালী গ্রুপ ইসলামিক জিহাদ।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতির সম্মতি আসার পর মধ্য রাত থেকে এটি কার্যকর হয়েছে।

গত ১০ মে থেকে গাজায় ইসরাইলের বিমান হামলা শুরু হয়।  এতে ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।  তাদের মধ্যে ৬৫ জন শিশু।  আহত হয়েছেন ১ হাজার ৯০০ জন।
বিশাল এলাকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে। বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে এক লাখ ২০ হাজার মানুষ।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে হামাসসহ গাজার বিভিন্ন গ্রুপ দেশটি লক্ষ্য করে চার হাজার তিনশ’ রকেট ছুঁড়েছে। তবে এর বেশিরভাগই প্রতিহত করেছে ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম। এসব রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

আল আকসা মসজিদে ইসরাইলি পুলিশের অভিযানের জবাবে হামাস রকেট হামলা চালালে গাজায় বিমান হামলা শুরু হয়।  গাজার শত শত স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।  ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, এই হামলায় হামাস বহু বছর পিছিয়ে পড়েছে।

হামাস বলছে, গাজার বড় এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

এই রক্তপাত বন্ধে বিভিন্ন দেশ আহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দিচ্ছিল না ইসরাইল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে সহিংসতা প্রশমনের কথা বলেন। তবে এরপরও নেতানিয়াহু হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে এবারের সংঘাতকে বলা হচ্ছে ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।  ২০১৪ সালের ওই সংঘাতে ২ হাজার ২৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। ইসরাইলের পক্ষে প্রাণহানি ছিল ৭৪, যাদের অধিকাংশই সেনাসদস্য।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by