দেশজুড়ে

‘আওয়ামী লীগ মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’

  প্রতিনিধি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩:৩৪:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

আওয়ামী লীগ মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

আওয়ামী লীগের দল কোন ক্যান্টনমেন্ট থেকে উঠে আসেনি যে ফুক দিলে উড়ে যাবে। আওয়ামী লীগ মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার যে ভিত্তি তৈরি করে গেছেন, সে পথ ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত করেছেন।

বহু মেগাপ্রকল্প আজ বাস্তবায়নের পথে। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প। বঙ্গবন্ধুকন্যার উদ্যোগেই ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প আজ সমাপ্তির পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা ২০২৪-এর শুরুতেই এ প্রকল্পের ১ম ইউনিটটি চালু হবে এবং জাতীয় গ্রিডে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা শাখা উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সৈয়দ শামীম রেজা। শুক্রবার (১৬.০৯.২৩) বিকেলে মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে  উঠান বৈঠকে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিগত ১৪ বছরের পথ-পরিক্রমায় প্রমাণিত হয়েছে, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়পোযোগী উন্নয়ন দর্শন। 

এখন সরকারের লক্ষ্য বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরিত করা। এ ক্ষেত্রে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে যদি আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে অর্থাৎ কর্মক্ষম জনসম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি, তাহলে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি-এ চারটি মূল ভিত্তির ওপর নির্ভর করে ২০৪১-এর মধ্যে বুদ্ধিদীপ্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে মর্মে আওয়ামী লীগের সরকার আশাবাদী। উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নের উঠান বৈঠকে শুক্রবার বিকেলে উপস্থিত থেকে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে এ দেশের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। দুই যুগের অধিককাল স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ চতুর্থবারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের সরকারকে ক্ষমতায় আনতে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান।

এসময় তিনি তাঁর বক্তব্য বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেল। বিশ্বব্যাংক তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু নির্মাণ বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছিল; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা ও অদম্য ইচ্ছার ফলে সে বাধা অপসারিত হয়েছে এবং পদ্মা সেতু আজ শুধু দক্ষিণাঞ্চলের নয়, সমগ্র বাংলাদেশের অথনৈতিক উন্নয়নে গতি এনেছে।

জাতির পিতা দুটি লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করেছেন। একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আরেকটি অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন; কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। সেই কাজটি নিষ্ঠা, দক্ষতা ও সততার সঙ্গে করে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন সব ধরনের প্রতিকূলতা জয় করে স্বাধীন বাংলাদেশ হবে মর্যাদাশালী, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ। এসময় উঠান বৈঠাকে উপস্থিত ছিলেন, মেগচামী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তফা মোল্যা, সাবেগ ছাত্রলীগ নেতা আমীর নেওয়াজ হিল্লোল, আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by