চট্টগ্রাম

আগেও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন সাংবাদিক মুজাক্কির

  প্রতিনিধি ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ১২:৪২:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর আগেও একবার শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি সংবাদকর্মী ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে সংরক্ষিত আছে।

ওই ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জের মাদক মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হাসান ইমাম রাসেল নামে এক কথিত সাংবাদিক বসুরহাট বাজারের একটি দোকানে বসিয়ে রেখে সাংবাদিক মুজাক্কিরকে মারধর করছেন। তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দও করা হচ্ছিল। নির্যাতনের সময় সাংবাদিক মুজাক্কিরকে নির্যাতনকারী রাসেলের অপর সহযোগীর ‘চলে যা, চলে যা’ বলে কথার রেকর্ডও রয়েছে।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, মুজাক্কির ওই স্থান থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। তাকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী হিসেবে চিহ্নিত করে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা দাবি করেছেন। মুজাক্কির হত্যাকাণ্ডের পর মিজানুর রহমান বাদলও তাকে তার কর্মী বলে দাবি করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, ‘মুজাক্কিরকে নির্যাতনের ভিডিওটি আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভিডিওটি দেখেছে। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৭-৮জন। পরে আশংকাজনক অবস্থায় মুজাক্কিরকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত শনিবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মুজাক্কির অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারের নোয়াখালী প্রতিনিধি ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by