উপ-সম্পাদকীয়

আণবিকধরেরা, পারলে করোনা ঠেকাও !

  প্রতিনিধি ৩ এপ্রিল ২০২০ , ৪:১১:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

গোটা বিশ্ব এখন ভয়াবহ বিপদের মধ্যে আটকে গেছে। যতদিন যাচ্ছে সমস্যা আরো জটিল হচ্ছে। সমস্যাটা অর্থের নয়, সমস্যাটা খাবারের নয়, সমস্যাটা পরিধেয় বস্ত্রের নয়, সমস্যাটা জীবন মরণের। এক বেলা খেয়েও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু প্রাণঘাতী সংক্রমক রোগের মহামারীর মধ্যে মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে পারে না। আতঙ্কিত বিশ্ব বাঁচার রাস্তা খুঁজছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা অস্থির। প্রতিনিয়ত রূপ বদলাচ্ছে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা করোনাকে আটকানোর কোন ফলপ্রসূ প্রতিষেধক আবিষ্কারে শতভাগ সফলতা অর্জনে ব্যর্থ। অসহায় বিশ্ব। বিশ্ববাসী এই অদৃশ্য ঘাতকের হাত থেকে বাঁচার জন্য সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে সফলতা কারো পাল্লায় নিতে পারছেন না। বিশ্বের মোটা মোটা মাথা নীরব। নিজেরাই আত্মগোপনে যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। কোথায় গেল দাপট। কোথায় গেল হুমকি পাল্টা হুমকি। শুধু আকাশের দিকে তাকিয়ে আর্তনাদ করা ছাড়া উপায় নেই। তামাম দুনিয়া একের পর এক লকডাউন হয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কেউ কারো আগমন সহ্য করতে পারছে না। আগামনের আশাও করছে না। সম্ভবত: আমাদের যথার্থ অনুধাবনের সময় চলে আসছে। মনে হয় এই পৃথিবীর মালিকের সাথে আমরা অনেক বড় অপরাধ করে ফেলেছি। অনেক বড় শাস্তি ভোগের দ্বারপ্রান্তে আমরা বিশ্ববাসী। বিশ্বে ২০১টি দেশ ইতিমধ্যে আক্রান্ত। সর্বোচ্চ আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইতালি, স্পেন, জার্মানী, ইরান, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড। যারা এখন আক্রান্ত হয়নি তারাও ভীতসন্ত্রস্ত। বেশি নয় এভাবে আগামী একমাস চলতে থাকলে পৃথিবী বিলাসিতা বিহীন এক নতুন অর্থনীতি দেখবে। প্রতিটা মহাদেশ থেকে একটা বড় শতাংশ লোক চাকরি হারাবে। এটা গ্লোবাল ক্রাইসিস। এই ক্রাইসিস থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাবে বিশ্ব। চিন্তা করতে করতে গলদঘর্ম বিশ্ববোদ্ধামহল। 

গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে চীনের উহান থেকে এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসের উদ্ভব ঘটে। চীন তার দক্ষতায় অনেকটা কন্ট্রোলে আনতে সক্ষম হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে চীনের জঘন্য খাদ্যাভ্যাস থেকে এর উদ্ভব। এর সত্যতা প্রমাণ দেয়ার মত কোন উপযুক্ত প্রমাণ কারো হাতে নেই। ১৯৬০ সালে প্রথম করোনা ভাইরাস আবিষ্কার হয়। তখন এটা শুধু পশু-পাখির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। তারপরে ২০০২ সালে হাঁস মুরগি আক্রান্ত হয়। আজ থেকে প্রায় দশবছর পূর্বে এই রোগে প্রায় ৮০০ লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। গবেষকরা মনে  করেন, করোনা ভাইরাস দীর্ঘসময় ধরে বাদুড়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হয়েছে এবং সার্স-কোভির উত্তরসূরিরা হিপোসিডারিডি গণের প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। তারপরে এটি পর্যায়ক্রমে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। ক্ষতির সম্ভাবনার দিক থেকে করোনা ভাইরাস বেশ বৈচিত্র্যময়। তিন প্রকারের সংক্রমণে বেশ ভয়াবহতা রয়েছে। কিন্তু বাকি চার প্রকার বেশ নিরীহ। নিরীহ চার প্রকার সংক্রমণের ফলে সাধারণত ঠা-া এবং এর সাথে কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করে যেমন জ্বর, গলা ব্যথা, গলা ফুলে যাওয়া। এই চার প্রকারে আক্রান্ত হলে পঁচাশি শতাংশ মানুষ সাধারণ চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যায়। মানব দেহে সংক্রমিত করোনা ভাইরাস প্রকার ভেদে নিম্নলিখিতভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে। (১) মানব করোনা ভাইরাস ২২৯ (এইচকোভি-২২৯ই), (২) মানব করোনা ভাইরাস ওসি ৪৩ (এইচকোভি-ওসি ৪৩), (৩) মানব করোনা ভাইরাস এম এল ৬৩ (এইচকোভি-এনএল ৬৩, নিউ হ্যাভন করোনা ভাইরাস), (৪) মানব করোনা ভাইরাস এইচকেইউ১ – এবং নি¤েœর তিনটি সাধারণত: মারাত্মক হয়ে থাকে- (১)  সার্স-কোভি বা সার্স ক্ল্যাসিক (২) মার্স-কোভি, পূর্বে “নোভেল করোনা ভাইরাস ২০১২” এবং “এইচকোভি-ইএমসি” হিসেবে পরিচিত ছিল (৩) সার্স-কোভি-২, পূর্বে ‘২০১৯-কোভি’ বা “নোভেল করোনা ভাইরাস ২০১৯” হিসেবে পরিচিত ছিল। 

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যাস্তোনিও গুতেরেস বলেছেন “করোনা ভাইরাস বিশ্বকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার দুয়ারে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে এক বিশ্ব মন্দা, যার মাত্রা হয়ত অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। মারণ এই ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশে দেশে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তা এই জটিল বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়।” পুরো বিশ্ব এই কঠিন মন্দার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকেঞ্জির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, “নতুন অর্থনৈতিক পরিবেশ দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী”। বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের হানা পড়েছে। এই ভাইরাস প্রবাসীর মাধ্যমে আমাদের দেশে ব্যাপক বিস্তারের ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। যেহেতু গোটা বিশ্বে এর কোন প্রতিষেধক নেই সেখানে আল্লাহর রহমতের দিকে তাকিয়ে আমাদের পরিত্রাণের আশায় থাকতে হবে। আমাদেরকে আমাদের কৃত-কর্মের অনুশোচনা করতে হবে। মানব সমাজ আল্লাহকে ভুলে যে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতে রয়েছেন তার শাস্তি হিসেবেই এই করোনা ভাইরাস কি-না তা ভাবার সময় এসেছে।  

গত প্রায় তিন মাস হয়ে গেল পৃথিবীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বাঘা বাঘা নোভেল বিজয়ী বিজ্ঞানীরা এই করোনা ভাইরাসের বিপরীতে প্রতিষেধক তৈরি করতে পারছে না। চীনের রাষ্ট্রপ্রধান মসজিদে ঢুকে ইমামের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তাঁর মধ্যে এই বিশ্বাস নাড়া দিয়েছিল যে, এর সমাধান হয়ত আমাদের হাতে নেই। যেহেতু চীন ধর্ম ও কোরআনের ব্যাপারে কঠোর নীতিতে স্থির ছিল। তাই তাদের এই বিবেকে নাড়া দেয়া খুবই স্বাভাবিক যে, এই বিপদের সমাধান হয়ত আল্লাহর কাছে। যখন মানব সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে তখন আল্লাহতায়ালা দুনিয়াতে একের পর এক মহামারী পাঠিয়ে থাকেন। আমরা পৃথিবীর মানব সম্প্রদায় আলাদা আলাদা সীমা রেখায় বিভক্ত। আমরা পরস্পরের প্রতি জুলুম নির্যাতন এবং সৃষ্টিকে ভুলে গিয়ে এক পৈশাচিক নিষ্ঠুরতায় মত্ত হয়ে পড়েছি। এই সবুজ পৃথিবীতে ধ্বংস করার জন্য আমরা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছি। পৃথিবী ধ্বংস করার জন্য তৈরি করেছি মরণঘাতি পারমাণবিক অস্ত্র। পৃথিবীতে যে পরমাণু অস্ত্র আছে তাতে গোটা পৃথিবী একটা শক্তিশালী বোমে পরিণত হয়েছে। “স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিচার্স ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) এর মতে, “বিশ্বে যে পরিমাণ পারমাণু বোমা মজুদ আছে তা দিয়ে গোটা বিশ্বকে ৩৮বার পুরোপুরি ধ্বংস করা যায়।” খুব মজার বিষয় আমরা যারা এত শক্তিশালী দাবি করছি তারা এই করোনা ভাইরাসের ভয়ে সেলফ কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার প্রসÍুতি নিচ্ছি। গোটা পৃথিবী আজ লকডাউনের পর্যায়ে চলে এসেছে। আল্লাহ মানব সম্প্রদায় সমস্ত ক্ষমতা দেননি এ কথা প্রণিধানযোগ্য। মানুষকে ক্ষমতা দিয়েছেন কিন্তু চূড়ান্ত ক্ষমতা আল্লাহর কাছে। কত অসহায় মানব সম্প্রদায়। গোটা পৃথিবী এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই ক্রান্তিকাল থেকে বেরিয়ে আসতে মানব সম্প্রদায়কে অনেক মূল্য দিতে হবে। এভাবেই যদি সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে তাহলে এর পরিণতি গাণিতিক ও জ্যামিতিক পরিসংখ্যানে মিলানো সম্ভব হবে না। 

ইরানের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে চীন ও ইরানে এই করোনা ভাইরাস যুক্তরাষ্ট্র ছড়িয়েছে। হয়ত যথেষ্ট প্রমাণাদি ইরান বা চীনের কাছে নেই। আমেরিকা যদি এ কাজ করে থাকে তাহলে সেটা হবে বিশ্বমানবতার সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। তবে যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যাপকভারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ল–ভ- হয়ে গেছে নিউইয়ার্ক। পৃথিবীতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারেও চীনের উপর অভিযোগ রয়েছে। হয়ত কোন মানবঘাতি বিষাক্ত কেমিক্যাল তৈরিতে কোন ত্রুটির কারণে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে থাকতে পারে। অথবা জঘন্য খাদ্যাভ্যাস থেকে এ রোগ ছড়াতে পারে। কেউ কেউ মনে করছেন চীন হয়ত বিষাক্ত কোন অস্ত্র তৈরি করতে গিয়ে এই ভয়ঙ্কর কাজটি করে ফেলেছে। কিন্তু এর বিপরীতেও কোন দালিলিক প্রমাণ কারো কাছে নেই।

চীন করোনা মুক্ত হয়েছে বলে আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন করেছে। বিপদে যখন আটকে গিয়েছিল তখন মসজিদের ইমামকে খুঁজে বেরিয়েছিল। বিপদ থেকে অস্থায়ী মুক্তিতেই আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ উল্লাসে মত্ত। এখন আর মসজিদের ইমামের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। যে ভাইরাস চীনের উহান আক্রান্ত করেছিল তা যে, আর চীন খুঁজে পাবে না এতটা উদ্বেলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এটা মানব সম্প্রদায়ের জন্য এক বিরাট মহামারী। খুব গভীরভাবে ভাবার সময় চলে এসছে।  

সরকারের পক্ষ থেকে হোম কোয়ারেন্টাইন এর জন্য বলা হয়েছে এবং বিষয়টি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক। বিশেষ প্রয়োজন না থাকলে বাইরে যাওয়া নিষেধ। সতর্ক না থাকলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া সহজ। কিন্তু সতর্কভাবে চললে করোনা থেকে শতভাগ নিরাপদে থাকা যায়। অতি উৎসাহ এই রোগকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। আমাদের সকলের উচিত সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক জারিকৃত হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিনই জাতির উদ্দেশে এই দুর্যোগের মুহূর্তে করণীয় স্ববিস্তারে মিডিয়াতে উপস্থাপন করে যাচ্ছেন। দেশবাসীর উচিত অতি গুরুত্ব সহকারে বিষয়গুলো মেনে চলা। ইন্শাআল্লাহ্ আমরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনও অনেক ভালো আছি। এই মহামারীকে সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দেশের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তারপরেও আমরা ধৈর্য্য সহকারে এর মোকাবেলা করতে পারব ইনশাআল্লাহ।

যারা পৃথিবীর মানব সভ্যতাকে নিশ্চিহœ করার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র মজুদ করেছেন। যারা গবেষণা করে শত্রু পক্ষের অস্ত্রের থেকে নিজেদের অস্ত্রের ক্ষমতা বহুগুনে বাড়িয়েছেন। যারা তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ ঘটানোর জন্য বারবার পৃথিবীতে উস্কানিমূলক কর্মকা- করেছেন। যারা উস্কানিমূলকভাবে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দিয়েছেন। যারা হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। যাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় বিশ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তারা এই ছোট্ট একটা ভাইরাসকে লক্ষ্য করে একটা ক্ষেপণাস্ত্র মেরে দিলেইত সব ঝামেলা চুকে যায়। কোথায় গেল যুক্তরাষ্ট্র, কোথায় গেল যুক্তরাজ্য, কোথায় গেল রাশিয়া, কোথায় গেল ফ্রান্স, জার্মান, ইসরায়েল, চীন, ভারত পাকিস্তান। আজ কেন লেজ গুটিয়ে বসে আছেন। আজ দখল করবেন না অন্যের ভূখ-, আজ অনুপ্রবেশের ইচ্ছা শক্তি কোথায় গেল। নিজেদের বিবেককে কাজে লাগান। আমরা গোটা দুনিয়া অদৃশ্য এক ভাইরাসে ভীতসন্ত্রস্ত। প্রত্যেকেই ঘরবন্দি। প্রতিটা দেশ লকডাউন। যে ইতিহাস মানব সম্পদ্রায় এই প্রথম দেখল। এটা মানব সম্পদ্রায়ের জন্য এক চরম শিক্ষণীয় দৃষ্টান্ত। এটা মোটা দাগের চিন্তার বিষয় নয়। এটা সূক্ষ¥ হিসাবের বিষয়। এই ভাইরাস এটাই দেখিয়ে দিচ্ছে যে, মানব সম্প্রদায়ের ক্ষমতা খুবই সীমিত। কার্যত: আমাদের কোন ক্ষমতাই নেই। আপনারা যারা অস্ত্রের ঝনঝনানি দিয়ে গোটা বিশ্বকে প্রায়শই গরম করে ফেলেন। এখন বের করছেন না কেন সেই পারমাণবিক। কে থামাচ্ছে। কে বাধা দিচ্ছে। পুরো মাঠ খালি পড়ে আছে। ঝাপিয়ে পড়–ন। ক্ষমতা থাকলে করোনা ভাইরাসকে লক্ষ্য করে একটি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র মেরে দিন। এটা কখনও পারবে না। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া এক সংশোধনী বার্তা। এখনও আমরা কৃতকর্মের অনুশোচনা না করলে ভবিষ্যতে এর চেয়েও আরও কঠিনতম মহামারীর অপেক্ষায় থাকতে হবে। বোধদয় হোক গোটা মানব সম্প্রদায়ের।

 

লেখক : কলামিস্টও
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, দৈনিক ভোরের দর্পণ
email: [email protected]
মোবাইল: ০১৭১১-২৭৩২৮০

আরও খবর

Sponsered content

Powered by