রাজধানী

আনুশকার বয়স নিয়ে লুকোচুরি!

  প্রতিনিধি ১০ জানুয়ারি ২০২১ , ১:৫৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নুর আমিনকে ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে তার পরিবার। আনুশকার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে চারজন জড়িত থাকলেও শুধু একজনকে আসামি করা হলো কেন? এছাড়াও আনুশকার বয়স নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে ধোয়াশা। মিলছে না পরিবার ও পুলিশের দেখানো বয়স। 

আনুশকার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের মেয়ে ২০০৩ সালে জন্ম নিয়েছে। পাসপোর্ট ও জন্মসনদ অনুযায়ী মেয়ের বয়স ১৭ বছর। মামলা দুর্বল করতে বয়স ১৯ লেখা হয়েছে।

আনুশকার মা বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার পর দিহান তার মেয়ের বয়স ১৯ বছর উল্লেখ করেছিল। কিন্তু তারা হাসপাতালে গিয়ে বয়স ১৭ বছর বললেও পুলিশ সুরতহালে ১৯ বছরই লেখে। মেয়ের বয়সের প্রমাণপত্র দেখালেও পুলিশ আমলে নেয়নি।

জানতে চাইলে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল হাসান গণমাধ্যমে দাবি করেন, মেয়েটির বাবার দেওয়া এজাহারই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আসামি বাড়ানো-কমানো পুলিশের বিষয় নয়। তাছাড়া মেয়েটির প্রকৃত বয়স তো পুলিশ জানত না। হাসপাতালের নথি এবং সুরতহালের সময় সাক্ষীদের ভাষ্য অনুযায়ী মেয়েটির বয়স ১৯ লেখা হয়েছে। এটা বড় বিষয় নয়।

এ বিষয়ে আনুশকার মা শাহানুরী আমিন বলেন, হাসপাতালে দিহানকে জিজ্ঞাসা করলে সে চারজন থাকার কথা বললেও আসামি হয়েছে একজনকে। তিনি কান্নাকণ্ঠে গণমাধ্যমকে বলেন, একজন দিহান পরিচয় দিয়ে বলে, আনুশকা তাদের বাসায় ছিল, সঙ্গে তারা চার ছেলে বন্ধু ছিল। এমন কথা শোনার পর বাকি তিনজনকে জিজ্ঞেস করলে তারা বাসায় থাকার কথা স্বীকার করে। সে সময় বাসায় আর কেউ ছিল না বলেও জানায়। কিন্তু পুলিশ ওই তিনজনকে ছেড়ে দিয়েছে।

তবে মামলাটির তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা পুলিশের নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবুল হাসান বলেন, দিহান একাই ছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত তদন্তে অন্য কারও সম্পৃক্ততাও মেলেনি। এরপরও ঘটনার সঙ্গে দিহান একাই ছিল, নাকি অন্য কেউ ছিল, তা নিশ্চিত হতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একাধিক লোক জড়িত থাকলে সবকিছুই বেরিয়ে আসবে।

Powered by