উপ-সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা ও আমাদের সাহেব আলী

  প্রতিনিধি ২৬ জুলাই ২০২১ , ৮:০৪:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

হালাকুর নৃশংসতার ভারে, দজলা-ফোরাত আজও কাঁদে

মো. খবির উদ্দিন:

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটারজুড়ে আমাদের মাতৃভূমি। অনেক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অর্জিত। বাংলাদেশের জনগণ খুবই শান্তিপ্রিয়। তবে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে বাংলাদেশ এক উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত। কোন দেশে অভ্যন্তরীণ গোলযোগ দেখা দিলে অথবা প্রতিবেশী দেশের সাথে যুদ্ধ লেগে গেলে বেসামরিক লোক জীবন রক্ষার্থে কিছুদিন স্মরণার্থী হিসেবে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়ে থাকে। যুদ্ধ বা অভ্যন্তরীণ গোলযোগ থেমে গেলে নিজ মাতৃভূমে ফিরে যায়। অধিকাংশ স্মরণার্থীর ক্ষেত্রেই এই ঘটনা হয়ে থাকে। আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের শান্তি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে নির্বিচারে গণহত্যা ও গণধর্ষণের মাধ্যমে ১৯৭৮, ১৯৯০, ২০১২, ২০১৬ এবং সর্বশেষ ২০১৭ বছরগুলোতে ধাপে ধাপে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিপদে আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। ওদের জায়গা দিয়েছি। খেতে দিয়েছি। আমরা মানুষ হিসেবে আরেক মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই শ্রেয় মনে করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বাংলার সর্বস্তরের জনগণ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা আমাদের খাবারের শেয়ার ওদের দিতে চেয়েছি। আমরা রোহিঙ্গাদের ক্যারেক্টার স্টাডি করিনি। আমরা ওদের জীবন ইতিহাস খুঁজিনি। আমরা ওদের অভ্যাস চরিত্র নিয়ে গভীরে যাইনি। আজকে ওদের আচরণ আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে। রোহিঙ্গা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে অনেক কিছু। রাত জেগে ওদের পাহারা দিতে হচ্ছে। ওরা বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে সৌদি চাকরি করছে। ওরা আমাদের অসাধু চরিত্রের লোকগুলোকে ব্যবহার করছে। ওরা ওদের অপকর্মে পুরো দেশের জনগণকে ভাবিয়ে তুলেছে।

প্রতিটা মানুষের চারিত্রিক গুণাবলি গড়ে ওঠে তার শিক্ষা-দীক্ষা, পরিবেশ, সমাজ ব্যবস্থা ও পারিপার্শ্বিক বিষয়ের ওপরে ভিত্তি করে। অঞ্চলভেদে মানুষের চরিত্র অভ্যাস ভিন্ন ভিন্ন রূপে ফুটে উঠে। পর্যাপ্ত শিক্ষার অভাবে মানুষ অসামাজিক হবে এটা খুবই স্বাভাবিক। মানুষের সভ্যতা, ভদ্রতা, নম্রতা, নৈতিকতাসহ ব্যক্তির প্রয়োজনীয় ইতিবাচক গুণাবলিগুলো মানুষের শিক্ষা, পরিবার, পরিবেশ ও পারিপার্শি¦কতার ওপরে নির্ভর করে তৈরি হয়। রোহিঙ্গারা যে পরিবেশে বড় হয়েছে, যে পরিবেশে ওরা শতাব্দির পর শতাব্দি কাটিয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত শিক্ষা ব্যবস্থা ও উন্নত পরিবেশ সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত। পরিবেশগত কারণে ওরা বিপথগামী যা আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাচ্ছি। ওরা আমাদের ত্যাগের মূল্য দিতে পারেনি এবং চেষ্টাও করেনি।

রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে এক বিরাট জায়গা দখল করে আছে। বেশ শান্তিতে আছে। রোহিঙ্গাদের বিপদে আমরা আমাদের দুয়ার খুলে দুহাত সম্প্রসারিত করে দিয়েছি। তামাম দুনিয়া আমাদের বাহবা দিয়েছে। কিন্তু এভাবে দীর্ঘদিন চলতে পারে না। ওদের সংখ্যা আমাদের বেশ ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিদ্রুত এর সমাধান করতে না পারলে ওরা আমাদের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে। ওদের কারণে অত্র অঞ্চলের পরিস্থিতি দিন দিন আরো কঠিন হয়ে উঠছে। অতিদ্রুত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফলপ্রসূ উদ্যোগ নিতে না পারলে আমরা নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়ে যাবো। সংকট দীর্ঘ মেয়াদি হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এক সময় অন্য সমস্যার ভারে এসব ভুলে যাবে এবং রোহিঙ্গা ইস্যু ক্ষুদ্র ইস্যুতে পরিণত হতে পারে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যর্পণ যথাশিগগিরই না হলে দীর্ঘ মেয়াদি অর্থনৈতিক চাপে পড়ে যাবে বাংলাদেশ এবং গোটা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনাকে কোনভাবেই উড়িয়ে দেয়া যায় না। কিছু কিছু রোহিঙ্গা আমাদের দেশের কিছু অর্থলোভী অসাধু লোককে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে সৌদিতে চাকরি করছে। এ সংক্রান্তে গত ১৮ জানুয়ারি ২০২১ সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ এর বরাতে দৈনিক আজকের সংবাদে বিস্তারিত এক রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যায় ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে সৌদি চাকরি করছে। ওরা বাংলাদেশি পরিচয়ে বিদেশে কাজ করবে এটা মোটেও কোন মার্জনীয় কাজ নয়। এ কাজে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ভূলুন্ঠিত হয়েছে। ওরা এখানে একের পর এক ফন্দি আটতে থাকলে আমাদের কাজ ফেলে একদিন ওদের সামলাতেই সময় পার হয়ে যাবে।

কক্সবাজারে রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশত হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউজ ও কটেজ। রোহিঙ্গারা দীর্ঘ মেয়াদি হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। রোহিঙ্গা নারীরা কক্সবাজারে অবাধে দেহ ব্যবসা শুরু করার যথেষ্ট সম্ভাবনা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে। এইড্স আক্রান্ত হয়ে পড়বে পর্যটক ও স্থানীয়রা। রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। বাংলাদেশে যে পরিমাণ ইয়াবা ঢোকে তার প্রায় সিংহভাগই মিয়ানমার থেকে। ইয়াবা এখন বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে যারা উঠতি বয়সের হতাশাগ্রস্ত কট্টরপন্থি মনোভাবের বেকার যুবক তাদেরকে টানা হতে পারে জঙ্গিবাদের সাথে সংযুক্তির জন্য। সুযোগে জঙ্গি সংগঠনগুলো তাদের কাজে লাগাবার চেষ্টা করবে।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বলেছেন “কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের জন্য হুমকি। তিনি আরও বলেন, চার বছরের বেশি সময় ধরে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১ দশমিক ১ মিলিয়নের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিককে জোরপূর্বক বাস্তÍচ্যুত করা হলে বাংলাদেশ এদেরকে আশ্রয় দিয়েছে। এরা বাংলাদেশ ও গোটা অঞ্চলের জন্য মারাত্মক নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখানে এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের আশ্রয়স্থল হতে পারে না। বিশ্ব সম্প্রদায়কে অনুরোধ করব, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের তাদের মাতৃভূমিতে সম্মানজনক ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যর্পণ নিশ্চিতে আমাদের সহযোগিতা করুন।”

মানবিকতার দায় হিসেবে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। মানবাধিকারের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করেছি। তাদের জন্য বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের হুমকিকে কাঁধে নিয়েছি। স্থানীয়দের সংখ্যালঘুতে পরিণত করেছি। আমাদের জীবিকায় শরণার্থীদের ভাগ বসিয়ে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। বিশ্ব বিবেকের বাহবা পেয়েছি। আবার তাদের নিজভূমে প্রত্যর্পণে সফলকাম না হতে পেরে বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে কাঁধে নিয়ে ঘুরছি। আবার আমরা ম্যানেজ হচ্ছি। আমরা ওদের পাসপোর্ট করে দিচ্ছি। আমরা দালাল হচ্ছি। আর কিছুদিন পরে ওদের চরিত্র আমরা লালন করব!!!

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিভিন্ন বনাঞ্চলের আট হাজার একরের উপর বন উজাড় করে বসতি স্থাপন করেছে। জ্বালানি হিসাবে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে ভূমিরূপ পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় ঘটিয়ে যাচ্ছে। শরণার্থী রোহিঙ্গাদের আধিপত্যের কারণে কক্সবাজারের ঐসব এলাকার স্থানীয় অধিবাসীদের কর্মসংস্থান ও জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। ওরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র ব্যবহার করছে। ওরা মিছিল করছে ওরা খুন করছে। ওরা জেলে যাচ্ছে। ওরা অ্যান্টি সোশ্যাল। ওরা বিপজ্জনক।

 


আইনত দখল অনেক শক্তিশালী। কাউকে দখল উচ্ছেদ করা অনেক ঝামেলা। তাই মানুষের প্রকৃতি না জেনে কাউকে ছাড় দিতে নেই। দিলেই বিপত্তি। যাতে তাকে দখল ছেড়ে দিলে বাঁশ ওয়ালা সাহেব আলীর (ছদ্ম নাম) চরিত্র ধারণ করা খুবই স্বাভাবিক। ১৯৯৫, আমি তখন দৈনিক দেশবাংলায়। আমাদের প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু জমি ছিল রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন। ব্রিজ থেকে বাড্ডা যেতে হাতের বাঁয়ে। যা বর্তমানে হাতির ঝিলের অধিভুক্ত। যখন জমি দেশবাংলার দখলে তখন পাহারাদার হিসেবে কিছু সিকিউরিটি নেয়া হলো। ঠিক তখন জনৈক বাঁশ বিক্রেতা খুব করে আবদার করল আমাকে বাঁশ বিক্রির একটা দোকান করার সুযোগ দেন। আমি গরিব মানুষ আমাকে এই উপকারটুকু করেন। দোকান নেয়ার সময় তিনি বললেন আমি থাকলে একজন পাহারাদারের কাজও হবে। তার কথা শুনে সম্পাদক তাকে কিছু জায়গা দিলেন। তিনি বাঁশ বিক্রি শুরু করলেন। চাঁছাছিলা বাঁশ। নিয়মিত ব্যবসা। দোকান আস্তে আস্তে প্রসারিত হলো।

 

বিপত্তি ঘটল ২০০১ সালে যখন ওখানে স্থায়ী দোকান করার প্রয়োজন দেখা দিল। তখন তাকে জায়গা ছাড়ার কথা বলা হলে তিনি জানালেন আমি জায়গা ছাড়তে পারব না। জায়গা ছাড়লে আমার লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে। অনেক দরবার। অনেক দৌড় ঝাঁপ। অনেক অ্যান্টি সোশ্যালের আগমন। মনে হলো বাঁশ বিক্রেতা বাঁশ এখন আমাদের দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরবর্তীতে অনেক সালিশ দরবার করে তাকে ২০০১ সালে প্রায় দুই লক্ষ টাকা দিয়ে দখল মুক্ত করতে হয়েছে। বাঁশওয়ালা তার প্রয়োজনে পায়ে হাত দিতেও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু যখন তাকে একটা দখল ছেড়ে দেয়া হলো তখন তার চোখ উল্টাতে মোটেও সময় লাগেনি। তিনি বহু ধরনের ফন্দি আটতে থাকেন। এলাকার বিভিন্ন ধরনের দালালের শরণাপন্ন হন। এমনকি ভুয়া কাগজ তৈরিরও চেষ্টা করেন তিনি। একজন বাঁশওয়ালার কূট চালে আমরা হেরে গিয়েছিলাম।

রোহিঙ্গারা এভাবে দীর্ঘদিন বাংলার ভূখন্ড দখল করে থাকলে কক্সবাজার রোহিঙ্গা মুক্ত করা আমাদের জন্য জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। ওরা মুখের কাছে খাবার পাচ্ছে, ঘর পাচ্ছে আবার সুযোগে আন্দোলন করছে। হয়ত একসময় ওদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এক কোটি বাংলাদেশি পাহারাদার বসাতে হবে। ওদের সাথে উল্লেখযোগ্য হারে যোগ হচ্ছে ওদের নবাগত প্রজন্ম। ওদের অ্যাকাডেমিক জ্ঞান না থাকায় ওরা কোথায় আছে কিভাবে আছে তার চিন্তা ওদের নেই। ওরা ভাবছে ওদের সংখ্যা যত বেশি হবে ওদেরকে বাংলাদেশ থেকে জোর করে সরানো মোটেও সম্ভব হবে না। রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমরা বন্ধু প্রতিম ভারত, চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে ফলপ্রসূ সাড়া পাচ্ছি না। বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। সম্ভবত আমরা গ্লোবাল পলিটিক্সের ফাঁদে আটকে আছি। এটা দীর্ঘ দিনের পলিটিক্যাল গেমও হতে পারে। ঘটনা বিশ্লেষণে মিয়ানমারের পরিকল্পনা তাই বলে দিচ্ছে। নচেৎ রোহিঙ্গা ফেরত নিতে এত কালক্ষেপণ কেন? আমরা বিশ্ব দরবারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেও সফল হচ্ছি না। কিন্তু কেন? কি দায় আছে বাংলাদেশের। কেন আমরা এই বোঝা বছরের পর বছর বয়ে বেড়াবো! বাংলাদেশের অগ্রগতিকে ব্যাহত করাই কি রোহিঙ্গা প্রেরণ। নাকি আরো কোন কঠিন ষড়যন্ত্রের স্বীকার বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে আস্তে আস্তে ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব জোরালো কুটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদেরকে ফেরত পাঠাতে হবে। নচেৎ অচিরেই রোহিঙ্গা আমাদের গলার ফাঁস হয়ে যাবে ।

লেখক : কলামিস্ট ও
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, দৈনিক ভোরের দর্পণ

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by