বাংলাদেশ

আন্তজেলা ও মহাসড়কে স্থায়ীভাবে বাইক বন্ধের সুপারিশ

  প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২২ , ৫:১৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

মহাসড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে আন্তঃজেলা ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল স্থানীয়ভাবে বন্ধ রাখার পক্ষে নিজেদের অবস্থানের কথা জানিয়েছে পরিবহন বিষয়ক টাস্কফোর্স।

সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন খাতে ‘শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়ন’ সংক্রান্ত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের সভা শেষে এ কথা জানান টাস্কফোর্সের সদস্য ও শ্রমিক নেতা শাজাহান খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শাহজাহান খান বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, দূরপাল্লায়, আন্তঃজেলায় রাইডশেয়ারিং হবে না। আজকেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা হয় মোটরসাইকেলে। সুতরাং আমরা সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ঈদের সময় কিছুদিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত কি আবার বাস্তবায়ন করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এটাকে বাস্তবায়নের জন্য বলেছি। তবে এখনও স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি।

বাস মালিকদের ষড়যন্ত্রে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটা হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া আর কিছু না।

দুর্ঘটনা এড়াতে ঈদের সময় আন্তজেলা চলাচলের ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সরকার। ফলে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। অবশ্য পুলিশের অনুমতি নিয়ে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে অনেকেই মোটরসাইকেল চালিয়ে গ্রামে ফিরেছেন।

তবে রোজার ঈদে যেভাবে ব্যাপক মোটরসাইকেলের ব্যবহার দেখা গিয়েছিল সে চিত্র ছিল অনুপস্থিত। বাইক না চলার সুযোগও নেয় পরিবহন মালিকরা। তারা ভাড়া ব্যাপকহারে বাড়িয়ে দেয়। এ ভোগান্তি একপর্যায়ে সাধারণের মাঝে অসন্তোষেরও জন্ম দেয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by