আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অর্থসহায়তা চেয়েছে আফগানিস্তান

  প্রতিনিধি ২৩ জুন ২০২২ , ৫:৫৬:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাতকিয়া। সেখানে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা দিতে কাজ শুরু করেছে জাতিসংঘ। তবে আকস্মিক বৃষ্টিপাত ও উদ্ধার সরঞ্জামের অভাবে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।

উদ্ধারকারীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, কয়েকটি গ্রাম প্রায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট ও মোবাইল টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভূমিকম্পটি আফগানিস্তানের খোস্ত শহর থেকে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূরে আঘাত হেনেছে। এর তীব্রতা এত বেশি ছিল যে ভূকম্পন পাকিস্তান ও ভারত পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে।

এটি দুই দশকের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্প। গত বছর মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় ফিরে আসা তালেবান সরকারের জন্য এই ভূমিকম্প মোকাবিলা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নানা কারণে আফগানিস্তান মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। তালেবানের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা আবদুল কাহার বলখি বলেছেন, ‘সরকার আর্থিকভাবে জনগণকে প্রয়োজনীয় পরিমাণে সহায়তা করতে অক্ষম।’

আবদুল কাহার বলখি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা, প্রতিবেশী দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাহায্য করছে। কিন্তু এই সহায়তা পর্যাপ্ত নয়। সহায়তা আরও বাড়ানো দরকার। কারণ এটি একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প। এ ধরনের ভয়াবহ ভূমিকম্প কয়েক দশকের মধ্যে দেখা যায়নি।’

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘জাতিসংঘ দুর্যোগ মোকাবিলায় পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাজ করছে।’ এ ছাড়া জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘চিকিৎসক দল, জরুরি চিকিৎসাসেবা সরঞ্জাম, খাদ্য এবং জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে কাজ করা দল—সবাই ভূমিকম্পকবলিত অঞ্চলের দিকে গেছে।’

বিবিসি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে পাতকিয়ার গায়ন ও বারমাল জেলায়। গায়ানের একটি গ্রাম প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

পাতকিয়ার একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে চিকিৎসাকর্মীরাও রয়েছেন।

একজন স্থানীয় সাংবাদিক বিবিসিকে বলেছেন, ভূমিকম্পের পর মোবাইল ফোন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

গত এক দশকে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ভূমিকম্পে দেশটিতে বছরে গড়ে ৫৬০ জন মারা যায়।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে এক ভূমিকম্পে ২০ জনেরও বেশি মারা গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ৯৩ শতাংশ পরিবার খাদ্যসংকটে ভুগছে। রেডক্রসের লুসিয়েন ক্রিস্টেন বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট ভয়াবহ। সেখানে খাবারের টেবিলে খাবার নেই।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by