চট্টগ্রাম

আমেরিকা প্রবাসীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণায় সিটি স্ক্যাপের এমডি কারাগারে

  প্রতিনিধি ২১ মার্চ ২০২৪ , ৫:২৯:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

আমেরিকা প্রবাসীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণায় সিটি স্ক্যাপের এমডি কারাগারে

বয়োবৃদ্ধ আমেরিকা প্রবাসীর নাম ব্যবহার করে কোম্পানি গঠন, ব্যাংক হতে কোটি কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ, ফ্ল্যাট বিক্রয় করে বিভিন্ন লোকদের নিকট হতে অর্থ আত্মসাতের মামলায় সিটি স্ক্যাপ প্ল্যানার্স কোম্পানির এমডি মো. মোমেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আসামি মো. মোমেন (৪৭) আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: রবিউল আলম এ আদেশ দেন। আসামি মো. মোমেন চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার মুসাপুর চাঁদের বাড়ির মৃত আবদুল বাতেনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়সাল নূর জানান, সন্দ্বীপ উপজেলার ইয়াছিন সুকানির বাড়ির মৃত মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ বাবুল মিয়ার (৬৭ বছর) দায়ের করা প্রতারণা মামলায় পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এই আসামিসহ ১৪ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামি মো. মোমেন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

মামলার অপর আসামীরা হলেন সন্দ্বীপ উপজেলার মুসাপুর গ্রামের বর্তমানে হালিশহরের আনন্দধারা আবাসিকের বাসিন্দা আবুল খায়েরের পুত্র মো. আরাফাত (৪০), মাস্টার শফিক উদ্দিনের পুত্র শিহাব উদ্দিন (৪৩), মোহাম্মদ ইসার পুত্র মোহাম্মদ নাজমুস সাকিব (৪০), মৃত ইয়াছিনের পুত্র মাহবুবুর রহমান (৪৫), এ এস এম সুফিয়ানের পুত্র এএসএম রফিকুল ইসলাম (৪১), এসএম সাইফুল ইসলাম (৩৯), ইকরামুল কবিরের পুত্র মোহাররামুল কবির (৪৯), গোপাল চন্দ্র রায়ের পুত্র পিযুষ চন্দ্র রায় (৪০), জাহিদুল ইসলামের কন্যা সুরাইয়া বেগম (৬১), মৃত মো. ইমরান সওদাগরের পুত্র মোহাম্মদ শাহজাহান (৮০), আবুল খায়েরের কন্যা জেসমিন মান্নান (৫১), মোহাম্মদ শামসুল আলমের পুত্র শাহরিয়ার মাহমুদ (৩৯) ও রবিউল আলমের পুত্র রাশেদ হোছাইন (৩৫)।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদী মোহাম্মদ বাবুল মিয়া দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাস করছেন। তার অনুপস্থিতিতে আসামীরা তার নাম ব্যবহার করে এই ভুয়া কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সৃজন করে বেশ কয়েকটি অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান হতে কোটি কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে। আসামীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং জমিতে সুউচ্চ ইমারত নির্মাণের পরিকল্পনা করে ফ্ল্যাট বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বিক্রয়ের লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে। তারা প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

আসামীরা বাদীকে এই ভুয়া কোম্পানির কখনো চেয়ারম্যান, কখনো ব্যবস্থাপনা পরিচালক বানিয়েছেন। আসামীরা ফ্ল্যাট ক্রয়কারীদের নিকট ফ্ল্যাটের দখল বুঝিয়ে না দেয়ায় এবং গৃহীত ঋণ পরিশোধ না করায় বাদী সহ আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের করে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by