দেশজুড়ে

আরশি নগর ফিউচার পার্কে সার্ভিস চার্জের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৩০ এপ্রিল ২০২১ , ৫:১৩:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই, চট্টগ্রাম:

মিরসরাই উপজেলার সোনাপাহাড় এলাকায় আরশি নগর ফিউচার পার্কে খাবার বিলের সাথে সার্ভিস চার্জের নামে পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ফেনী থেকে আগত শহিদুল ও তার সঙ্গীরা এই অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খাবার বিলের রশিদ সংযুক্ত করে ষ্ট্যাটাসের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি তার ষ্টেটাসে লিখেন, “ফেনীর ভাই ও বোনেরা এই বিষয় গুলো একটু খেয়াল করবেন। আরশীনগর রেস্টুরেন্ট, বারৈয়ারহটা, ডাকাতিরও একটা সীমা থাকা দরকার। ৬টাকার পরোটা ৩০টাকা করে, ৫০ টাকার পেপসি ৬০টাকা খাবারের দাম বেশি নিচে বড় কথা নয় কিন্তু এইটা বুঝলাম না সার্ভিস চার্জ টা কিসের জন্য নিলো?? পোষ্ট করার কারন হলো আমরা অনেকে অপরিচিত জায়গায় খাবার খাই, খাবার খাওয়ার আগে সব কিছু জেনে নিবেন….।”

অভিযোগকারী শহিদুল এই প্রতিবেদককে ফোনে জানান, গত ছয় রমজান (২০ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টায় আরশীনগর ফিউচার পার্কে প্রবেশ করি। রাতের বেলাতে প্রবেশ উন্মেুক্ত থাকে বিনা টিকিটেই প্রবেশ করতে পারে যে কেউ। আমরা নয় জন নাস্তা করার জন্য জন্য যাই। নাস্তার শেষে বিল হাতে পেয়ে চোখ কপালে উঠার মতো!!

 

প্রতিটি পরটার মূল্য ধরা হয়েছে ৩০টাকা অথচ এই পরটা মাত্র ৫টাকা মানের পরটা। এই ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্তব্যরত রেষ্টুরেন্ট ম্যানেজার বলেন এই খানকার নিয়ম এই রকম। প্রতিটি চিকেন ধরা হয়েছে ১শ ৩০টাকা। এছাড়া ৫০টাকার ১লিটার একটি পেপসির দাম ধরা হয়েছে ৬০টাকা। বাড়তি দামে খাবার বিল এসেছে ১৭শত ৭০টাকা তার উপর আবার সার্ভিস চার্জ দেখানো হয়েছে ১০ শতাংশ ১শত ৭৭ টাকা!! একে তো প্রতিটি খাবারের দাম মান অনুযায়ী বাড়তি ধরা হয়েছে তার উপরে আবার সার্ভিস চার্জ!!

 

রাগে ক্ষোভে মেজাজ হারাচ্ছিল আমার সাথে থাকা অন্যান্যারা। প্রতিবাদ করার সাথে সাথে পার্কের লোক জন জড়ো হয়ে আমাদেরকে আক্রমনাত্বক আচরন করে পুরো বিল পরিশোধে বাধ্য করে। আমরা কোন প্রকারে বিল পরিশোধ করে নিজেদের আত্মরক্ষা করে পার্ক ত্যাগ করি।

অন্যান্য সাধারণ পর্যটকদের অনুরোধ করেবো আশীনগর ফিউচার পার্ক সম্পর্কে সবাই যেন সচেতন হয় এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ আরশী নগরের এমন ডাকাতি কর্মকান্ডের দিকে যেন আইনি নজর রাখেন।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে আরশী নগর ফিউচার পার্কের স্বত্বাধিকারী নাছির উদ্দিন দিদার এই প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের এখানে যে উন্নত মানের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্যই সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়েছে। আমাদের যে শেফ রয়েছে তাদের এক এক জনের মাসিক বেতন পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকা। আমরা উন্নতমানের তরতাজা খাবার পরিবেশন করি তাই খাবারের দাম একটু বেশি থাকবে এটাই সাভাবিক। পেপসির বাড়তি দাম নেওয়ার কথাও স্বীকার করেন তিনি।

চট্টগ্রাম ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক হাসানুজ্জামান বাড়তি দ্রব্য মূল্য আদায়ের ব্যাপারে জানান, উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য প্রতিষ্টান নির্ধারণ করবে। একটি বড় প্রতিষ্ঠান তার প্রতিষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতা অনুযায়ী সর্বোচ্ছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সার্ভিস চাজ করতে পারবে। তবে কোন বোতলজাত পন্যের উপর অতিরিক্ত কোন মূল্য চার্জ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে শুধু মাত্র পণ্যের গায়ে যে মূল্য লিখা থাকবে তা নিতে পারবে। যদি পণ্য মূল্য থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করে থাকে তাহলে রশিদ সহকারে ভোক্তা অধিকার বরাবরে অভিযোগ করলে আমরাই আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by