দেশজুড়ে

আশুলিয়ায় কোরবানীর জন্য প্রস্তুত ‘রাজ কুমার’ ও ‘বাদশা’

  প্রতিনিধি ৫ জুলাই ২০২১ , ৬:৪২:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

মশিউর রহমান, আশুলিয়া (ঢাকা):

প্রতিবছর কোরবানির ঈদের আগে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে নানা বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট শের আলী মার্কেট এলাকার সততা এগ্রো ফার্ম নামে গরু খামারের ‘লাল রাজ কুমার’ ও ‘কালো বাদশা’ নাম। গরু দুটির গায়ের রং লাল ও কালো। লম্বায় যেমন, উচ্চতাতেও তেমন। শরীরও ফোলা নয়।

তাই ষাঁড় দুটি দেখতে অনেকে আসেন খামারে। করোনার কারণে এবারের কোরবানির ঈদে দেশের বাইরে থেকে গরু আসার সুযোগ থাকছে না।

তাই এই ফার্মের মালিক শামসুল হক তার কোরবানির পশু দুটির যথাযথ মূল্য পাবেন বলে আশা করছেন এবং এবছরে তিনি হাঁটে না গিয়ে অনলাইনে ষাড় দুটি বিক্রি করবেন। তার খামারে ‘লাল রাজ কুমার’ ও ‘কালো বাদশা’ খাবারের জন্য তাঁকে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। শাহী ওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড় দুটি গত ২বছর ধরে তিনি লালন পালন করে আসছেন।

 

রাজ কুমারের ওজন ৮০০ কেজি ও বাদশার ওজন এগারোশ কেজি হবে বলেও জানান এই খামারী। এ ছাড়া ষাঁড় দুটি ১৯লাখ টাকায় বিক্রির প্রত্যাশা করছেন বলেও জানান তিনি। ষাড় দুটি লালন-পালনে রয়েছে দুইজন রাখাল।

খামারী মোঃ শামসুল হক জানান, আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো একটি গরুর খামার করবো। তাই সততা এগ্রো ফার্ম নামে একটি খামার করেছে। এই খামারে দেখাশুনার দ্বায়িত্বে দুইজন রাখাল সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছে। এই খামার থেকে বিভিন্ন স্থানে দুধ সররাহ করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি কোরবানির বাজার কাপাতে দুই বছর ধরে দুটি ষাড় গরু প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে। এবারে এই ষাড় দুটি বিক্রি করা হবে।

তবে মহামারি করোনার কারণে বাজারে না গিয়ে অনলাইনে বিক্রির প্রত্যাশা করছি। কেউ যদি গরু কিনে কোরবানির আগ মূহুর্ত পর্যন্ত খামারে রাখতে চায় সে ব্যাবস্থাও করা যাবে।

 

এ বিষয়ে সাভার উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, ষাড় দুটি নিয়মিত চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। কোন খারাপ মেডিসিন প্রয়োগ করা হয় নি। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড় দুটিকে লালন-পালন করা হয়েছে। তাই তার মাংস অনেক সুস্বাদুও হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by