আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের রাতভর হামলায় গাজার এক শহরে নিহত ১৪৩

  প্রতিনিধি ২৩ অক্টোবর ২০২৩ , ৩:২৩:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ইসরায়েলের রাতভর হামলায় গাজার এক শহরে নিহত ১৪৩

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দেইর আল বালাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর রাতভর অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪৩ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৬২ জন। শহরটির বৃহত্তম হাসপাতাল আল আকসা মারটেয়ার থেকে সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদম্যধম সিএনএন।

সরেজমিনে হাসপাতলটি  পরিদর্শন শেষে সিএনএনের প্রতিনিধি জানান, আল আকসা মারটেয়ার হাসপাতালের মর্গে জায়গা না থাকায় অনেকের দেহ বাইরে হাসপাতাল চত্বরে রাখা হয়েছে। লাশ বুঝে নিতে হাসপাতালে জড়ো হয়েছেন আত্মীয় পরিজন ও বন্ধুবান্ধবরা। তাদের শোকে ভারী হয়ে উঠেছে আল আকসা মার্টেয়ার হাসপাতালের পরিবেশ।

রোববার রাতে দেইর আল বালাহে অভিযান চালানোর পর সোমবার ভোরেও হাসপাতালের আশপাশের এলাকায় অন্তত ৫ বার বিমান বাহিনী গোলাবর্ষণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সিএনএন। আইডিএফের এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, হামাসের আর্টিলারি বিভাগের উচ্চপর্যায়ের একজন কমান্ডার দেইর আল বালাহ এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিল তাদের কাছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই রোববার রাতে অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।

বিমান বাহিনীর অভিযানে হামাসের ওই কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছেন আইডিএফের ওই মুখপাত্র। তবে আল আকসা মার্টেয়ার হাসপাতালের আশ পাশের এলাকায় গোলা হামলায় আইডিএফের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলের উত্তরাংশে ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। সেদিন কয়েকশ’ হামাস যোদ্ধা বুলডোজার দিয়ে সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলের প্রবেশ করেন, শত শত ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের হতাহত করেন এবং ইসরায়েল থেকে ২ শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যান।

এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের নাগরিকরা রয়েছেন এবং তাদের সবাই বেসামরিক নাগরিক।

হামাসের এই হামলার জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী, (আইএএফ) যা এখনও চলছে। গত ১৬ দিনের যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক এবং গাজায় ‍নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ হাজার ৬০০ জনে।

হামাসের নেতারা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য এই যুদ্ধ শুরু করেছেন তারা। অন্যদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামাসকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করেই যুদ্ধের ময়দান ছাড়বে আইডিএফ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by