দেশজুড়ে

ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: পাঁচ জেএমবির মৃত্যুদণ্ড

  প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২২ , ৫:৪২:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে বোমা হামলায় জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামের একটি জঙ্গি সংগঠনের  পাঁচ  সদস্যকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিরা হলেন, আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবলু রহমান, আবদুল গাফফার ও এম সাখাওয়াত হোসেন। এদের মধ্যে সাখাওয়াত পলাতক রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায়ে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে গত ১ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) দিন ধার্য করেন সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক আবদুল হালিম।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে জুমার নামাজের সময় পতেঙ্গা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করেন আবদুল মান্নান। এসময় ভীতসন্ত্রস্ত মুসল্লিরা ছোটাছুটি শুরু করলে হামলাকারী মান্নান ভিড়ের সাথে মিশে যান। কিন্তু তার বাঁ হাতের কবজিতে ইলেকট্রিক সুইচ দেখে মুসল্লিরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তখন আবদুল মান্নান আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে সফল হননি।

পতেঙ্গা মসজিদে হামলার ১০ মিনিট পর ঈশা খাঁ ঘাঁটির আরেকটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই মসজিদে জুমার নামাজ শুরু হলে রমজান আলী মসজিদের মাঝ বরাবর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করে মুসল্লিদের সাথে মিশে যান। পরে তাকেও ধরে ফেলা হয়। ওই দিন দুটি মসজিদে বোমা হামলায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাসহ ২৪ জন মুসল্লি আহত হন।

হামলার ৯ মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নৌবাহিনীর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানায় মামলা করেন। ঘটনার ২২ মাস পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by