বিনোদন

করোনা দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রীর পাশে গানবাংলা

  প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২০ , ৩:৫৭:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ৫০ লক্ষ টাকার অনুদান সহযোগিতা প্রদান করেছে দেশের একমাত্র সংগীতভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল গানবাংলা ও দেশের অন্যতম বৃহৎ ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ওয়ান মোর জিরো কমিউনিকেশন্স।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নি ও প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার কার্যালয়ে অনুদান গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফারজানা মুন্নি।  অন্যদিকে, বিপদকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সর্বশেষ বৈশাখী ভাষণে দেশবাসিকে যে সাহস ও শক্তি জুগিয়েছেন, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাপস।

মঙ্গলাবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখে গানবাংলার উদ্যোগে নির্মিত রবীন্দ্রনাথের ‘এসো হে বৈশাখ’ গানে ঘরে বসেই কণ্ঠ দিয়েছেন ১০০জন সংগীতশিল্পী। গানটির শুরুতে প্রাসঙ্গিকভাবেই বৈশাখী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী কণ্ঠে সত্তেন্দ্রনাথ দত্তের ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়’ ও রবীন্দ্রনাথের ‘এসো হে বৈশাখ’- গানের পংক্তিবিশেষ উচ্চারণের অংশটুকু যুক্ত করার কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন তাপস।

উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাত উঁচিয়ে দৃঢ় কণ্ঠে পুন:উচ্চারণ করেন, ‘মেঘ দেখ কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’।  পাশাপাশি দুর্যোগেও ঘরে থেকে নতুন নতুন সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে থাকতে পরামর্শ দেন।

সবশেষে, দেশের চলমান দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে গানবাংলা এবং ওয়ান মোর জিরো কমিনিকেশন্সের এমন সহযোগিতার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এ দুর্যোগে শুরু থেকেই ভূমিকা রেখে আসছে গানবাংলা পরিবার। দুর্যোগের শুরুতেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ১ হাজার পরিবারকে সহযোগিতা প্রদান করে তারা। এছাড়াও গত ২৬ মার্চ থেকে ইউএনডিপির ‘স্টে হোম চ্যালেঞ্জ’-এর পাশে দাঁড়িয়ে ১৬দিনব্যাপী দেশ-বিদেশের ১৩০ শিল্পীর অংশগ্রহণে গান-কথায় সামাজিক সচেতনতা তৈরি ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায়  ‘মিউজিক ফর পিস-এফ বি লাইভ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তারা। যার সঙ্গে প্রতিদিন সংযুক্ত ছিলেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by