প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২০ , ৭:৩২:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : দূর হতে দেখলে মনে হবে ঐতিহ্যবাহি বদরগঞ্জ মেলার (মাস ব্যাপি) চিত্র। কিন্তু বাস্তবে এটি এ হল বদরগঞ্জ পৌরশহরের পশুর হাটের চিত্র। গরু ছাগল হাঁস মুরগি কি নেই এই হাটে ? দেদারছে কেনা বেচা চলছে এই পশু হাটে। সীমিত পরিসরে হাট পরিচালনার কথা থাকলেও হাটে জনসমাগম এতটাই যে,হাটটি যেন কানায় কানায় পূর্ণ। সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলার বালাই নেই সেখানে। সবকিছু দেখে যেন মনে হয় মহামারি করোনা ভাইরাসের নামটিই পর্যন্ত তারা শোনেননি।
সরেজমিনে সোমবার হাটে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে গাছের ছাঁয়ায় চেয়ার নিয়ে গাদাগাদি করে বসে মনিটরিং করছেন পশু হাট কর্তৃপক্ষের লোকজন। আরও দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার হাটবার গরু ছাগল বিক্রিতে কোন রশিদ বই ছাড়াই সাদা কাগজে চলছে কেনাবেচা কার্যক্রম চালালেও সোমবার হাটে রশিদ দিয়েই চলছে পশু কেনা বেচা কার্যক্রম। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, হাট কর্তৃপক্ষ ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ হতে চাঁদা আদায় করেন।
পশু হাট সংলগ্ন পৌরশহরের মুন্সিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা লুৎফর লোহানি জানান, পশুহাট হলে তো জনসমাগম হবেই এতে করে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। সীমিত পরিসরে ও সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার কথা থাকলেও কোন কিছুই তারা মানছেন না। এতে করে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। বদরগঞ্জ হাট ইজারাদার রবিউল ইসলাম রবি মোবাইল ফোনে জানান, পশু হাট চালানোর অনুমতি আমাদের আছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরশাদ হোসেন জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। বেশি জনসমাগম করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
তিনি আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কর্মসুচির প্রধান, নার্স সহ কয়েকজন আক্রান্ত হবার পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও বর্তমানে শীতিল করা হয়েছে। এ কারণে উপজেলার মানুষ করোনা সংক্রমনের ঝুঁকিতে রয়েছে। হাটবাজারে জনসমাগম করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেবে।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)শরিফুল আলম জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে হাট চালাতে পারে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। রশিদ ছাড়া সাদা কাগজে গরু ছাগল বিক্রির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান,এটা ঠিক না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রংপুর শরীফ মুহাম্মদ ফয়েজুল আলম জানান, হাটে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তিনি আরও জানান, রশিদ বই ছাড়া সাদা কাগজে ক্রয় বিক্রয় করা অন্যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।