বাংলাদেশ

কাঠগড়ায় কেঁদে কেঁদে শাহেদ বললেন, আমি করোনায় আক্রান্ত

  প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২০ , ৪:১৮:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর বুধবার (১৫ জুলাই) র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম ওরফে মো. শাহেদ।

এরপর বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে ডিবি।

আদালতে রিমান্ড শুনানি চলাকালে কাঠগড়া থেকে বিচারকের উদ্দেশে শাহেদ বলেন, আমি কি একটা কথা বলতে পারি? এটি বলেই কাঠগড়ার ভেতরে কান্নাকাটি শুরু করেন শাহেদ।

তিনি বলেন, ‘আমি দেড় মাস ধরে করোনায় আক্রান্ত। আমার বাবা করোনায় মারা গেছেন। আমি মার্চে প্রথম দিন যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যাই, তখন তারা আমাকে আমার হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করতে বলেন। তখন আমি বলি আমার লাইসেন্সের ঘাটতি আছে। তখন তারা বলে যে লাইসেন্স নবায়নের জন্য সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেন। আমি তাদের কথা মতো টাকা জমা দেই। সারা দেশে করোনা চিকিৎসার কাজ বেসরকারিভাবে আমরাই শুরু করেছি। তারপরেও আমার সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।

এরপর সাহেদের আইনজীবী মনিরুজ্জামান ও নাজমুল বলেন, ‘মাননীয় আদালত জামিন চাওয়ার অন্যতম কারণ সাহেদ অসুস্থ। পাশাপাশি তাঁর বাবা মারা গেছেন বলে তিনি শোকাহত। তিনি বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক, দেশ ছেড়ে কোথাও যাবেন না। তাই তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না।’

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু শুনানিতে বলেন, আসামিরা মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছে। তাদের থেকে মানুষ করোনা পরীক্ষা করে বিদেশে গিয়েছে, সেখানে রিপোর্ট ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে দেশের নাম বিদেশে খারাপ হয়েছে। আসামিরা দেশ ও জাতির শত্রু। এ ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত আছে তা উদঘাটন করতে আসামিকে রিমান্ড নেওয়া আবশ্যক।

এর পর শুনানি শেষে বিচারক সাহেদ ও মাসুদ পারভেজের ১০ দিন এবং রিজেন্ট গ্রুপের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by