প্রতিনিধি ২৮ মে ২০২০ , ৬:৩১:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি : কাঠালবাড়ি–শিমুলিয়া নৌরুটের ফেরিতে বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। এদিনও ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রী পার হচ্ছে। শারীরিক দূরত্ব মানার কোন বালাই নেই। নেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম। এদিনও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে যাত্রীবাহী গনপরিবহন উল্টোপথে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। ঘাট এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে শিমুলীয়া–কাঁঠালবাড়ি নৌরুট হয়ে কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। সকাল থেকে ১২ টি ফেরি দিয়ে সার্ভিস সচল রাখা হয়েছে। ফেরিগুলোতে জরুরী এ্যামবুলেন্স, ব্যাক্তিগত গাড়ি, কাঁচামাল ও পন্যবাহী ট্রাকের চাপ কিছুটা কম থাকলেও যাত্রীর চাপ বেশি দেখা গেছে। বরিশাল খুলনাসহ যাত্রী রেন্ট এ কারের যানবাহনসহ ঈজিবাইক,মটরসাইকেলে চড়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কাজে ফিরছেন। যাত্রী চাপ ঠেকাতে এদিনও মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে জরুরী এ্যামবুলেন্স, ব্যাক্তিগত পরিবহন, কাঁচামাল ও পন্যবাহী ট্রাক ছাড়া সকল গনপরিবহন উল্টোপথে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অতিরিক্ত ভাড়া ব্যয় করে মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ঈজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে ৩–৪ গুন বাড়তি ভাড়া দিয়ে বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌছতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট সহকারী ম্যানেজার ভজন কুমার সাহা বলেন, ঈদের পরদিন থেকেই কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। আমাদের সকল ফেরি সচল রয়েছে।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান বলেন, গত দুদিনের তুলনায় গাড়ির চাপ কম থাকলেও আজ যাত্রী চাপ কিছুটা বেশি রয়েছে। চাপ সামাল দিতে আমরা ঘাটে অবস্থান নিয়ে সুশৃংখলভাবে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করছি। যাত্রী চাপ যে কয়দিন থাকবে ততদিন আমাদের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।