ময়মনসিংহ

কেন্দুয়া হাসপাতালে ‘জিন এক্সপার্ট’ মেশিন

  প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:২৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মজিবুর রহমান,কেন্দুয়া : নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেত্রকোণা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রচেষ্ঠায় যুক্ত হলো ‘জিন এক্সপার্ট অত্যাধুনিক মেশিন। যক্ষা রোগ নির্ণয়ের জন্য যুক্ত হওয়া ওই মেশিনে করোনা রোগ নির্ণয়ও করা যাবে। যা হাসপাতালটির জন্যে সেবার একটি মাইলফলক হয়েছে। ‘জিন এক্সপার্ট’ অত্যাধুনিক ওই মেশিনটি আগামী ১ অক্টোবর উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অসীম কুমার উকিল এমপি। আর এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমবিডিসি এন্ড টিবিলেপ্রসি এন্ড এএসপি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ মো.সামিউল ইসলাম। সুত্র জানা যায়,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অসীম কুমার উকিল এমপি নির্বাচিত হয়ে চিকিৎসা সেবার প্রতি খুবই গুরুত্ব দেন। যে কারনে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবারমান ও সেবার পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। অসীম কুমার উকিল যখন এমপি নির্বাচিত হন তখন হাসপাতালটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প.কর্মকর্তাসহ ৪ জন চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন। তার মাঝে ২/৩ জন প্রায় ট্রেনিং কিংবা অন্যান্য কারনে প্রায় কর্মস্থলের বাইরে থাকতেন। যে কারনে হাসপাতালে আগত রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হতো। এ অবস্থায় অসীম কুমার উকিল এমপির প্রচেষ্ঠায় চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। বৈশ্বিক করোনা দুর্যোগ শুরু হলে হাসপাতালে আইশোলেশন সেন্টার স্থাপন এবং চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে পর্যাপ্ত মাক্স-হ্যান্ডগøাপস ও হ্যান্ড স্যানিট্রাইজারসহ নানা উপকরনের ব্যবস্থা করেন তিনি। করোনার চিকিৎসায় ‘অক্সিজেন কনসেনট্রেটর’ মেশিন যুক্ত করেছেন। ওই মেশিনটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রদান করেছে। যুক্ত হচ্ছে রোগ নির্ণয়ের জন্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন। ডেন্টাল ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। অত্যাধুনিক ইসিজি মেশিন সংযোজন হয়েছে। হাসপাতালে বড় একটি সমস্যা ছিল বিশুদ্ধ পানির অভাব। সেই সমস্যাটি দুরীকরণের জন্যে দুইটি সাবমারসিবল ওয়াটার পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। জরায়ুমূখে ক্যান্সার পরীক্ষা (ভায়া টেস্ট)সহ আরো অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবস্থা হয়েছে অসীম কুমার উকিল এমপি’র প্রচেষ্ঠায় জানালেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ হাসিব আহসান। ডাঃ হাসিব আহসান আরো বলেন, একটা সময় শুধু কফ এবং এক্সরের মাধ্যমে যক্ষারোগী শনাক্ত করা হতো। সেই পরীক্ষায় ৫০ভাগ রোগীই শনাক্তের বাইরে থাকতো। এই অবস্থার পরিবর্তনে দেশ এখন জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে যক্ষা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আমরাও এই অত্যাধুনিক মেশিনটি পেয়েছি। এই মেশিনে শুধু যক্ষা রোগী নয়, করোনা টেস্টও করা যাবে এই মেশিনে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by