ঢাকা

কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীতে ঈদের পোশাক তৈরির ধুম

  সাইমুন রেজা ১৯ মার্চ ২০২৪ , ৭:৩২:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস পল্লীতে ঈদের পোশাক তৈরির ধুম

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন কেরানীগঞ্জের পোশাক শ্রমিকরা কালীগঞ্জের প্রতিটি কারখানায় চলছে বাহারি রং ও ডিজাইনের আধুনিক রুচি সম্মত পোশাক তৈরির কাজ যা দেশের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ জোগান দেওয়া হয় এখান থেকে।

তবে কাজের চাপ বাড়লেও বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি ঘুরে দেখলাম সেলাই মেশিনের শব্দ বলে দিচ্ছে পোশাক তৈরির ধুম লেগেছে কারখানাগুলোতে ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় দশ হাজার কারখানায় 50 হাজার শ্রমিক পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হয় এখানে মানসম্মত ও রুচি শিল পোশাক শ্রমিকদের দক্ষ হাতে তৈরি হচ্ছে সকল বয়সী ছেলেদের প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, পায়জামা, কাতুয়া ও বাবা স্যুট আর মেয়েদের জন্য তৈরি হচ্ছে টপস, ওয়ান পিস, বিভিন্ন রঙের কামিজ এবং বোরকা কারখানাগুলোতে কেউ কাপড় কাটছে কেউ সেলাই করছে, কেউবা সুতা কাটা সহ বোতাম লাগানোতে ব্যস্ত কেউবা স্ত্রী করে প্যাকেজিং করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন শোরুমগুলোতে কারিকরেরা বলছেন দিনরাত ২৪ ঘণ্টা খেয়ে না খেয়ে পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

এদিকে মালিকেরা বলেছেন ব্যাংক লোন নিয়ে উৎপাদন বাড়ানো হলেও বেচাকেনা এখনো শুরু না হওয়ায় বিপাকে তারা। তারা বলেন আমরা সারা বছর রমজান মাসের অপেক্ষায় থাকি সারা বছর পোশাক তৈরি করে ঈদুল ফিতরের জন্য মজুদ করে রাখি। রোজার মাসে বিক্রি করার জন্য তারা যেই পরিমাণ মাল মজুদ করে রেখেছে সে হিসাবে বর্তমানে মার্কেটে কোন বেচাকেনা নেই ।

তারা বলেন গত বছর এমন দিনে টুকটাক ভালো বেচাকেনা ছিল এবছরের তুলনায় আমাদের শবে বরাতের পর থেকে বেচাকেনা শুরু হয় কিন্তু এ বছর রোজা এসে গেছে তাও তেমন কোন পাইকারদের উপস্থিতি নেই তাদের সারা বছরের একটা টার্গেট থাকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে বেচাকেনা করে দোকানের কর্মচারীদের বেতন বোনাস সবকিছু দেওয়ার।

তবে বেচাকেনা আগের থেকে ভালো বলে জানান কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস মালিক সমিতির নেতারা। তবে সারা দেশের খুচরা এবং পাইকারি ক্রেতারা শোরুমগুলোতে দ্রুতই পাড়ি জমাবে এমনটাই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by