দেশজুড়ে

খাবার হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হামলা

  প্রতিনিধি ১৮ মার্চ ২০২৪ , ৩:২৮:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

খাবার হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হামলা

ইফতারে ‘পচা বেগুনি’ পরিবেশনকে কেন্দ্র করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৭ মার্চ) দিনগত রাত ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন ‘হোটেল সারেং’ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে পচা বেগুনি পরিবেশন করা হয়। এরপর বেগুনিটির মান ভালো নয়- এমন অভিযোগ জানাতে গেলে হোটেল মালিকের সাথে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয় ।

পরে এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ত্রিশালের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি মীমাংসার জন্য যান। অতঃপর প্রক্টরের উপস্থিতিতেই শিক্ষার্থীরা দুজন হোটেল কর্মচারীকে মারধর করে । তৎক্ষণাৎ আশেপাশের দোকানদার এবং স্থানীয় এলাকাবাসী ও উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করলে শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঠা ও রড নিয়ে দফায় দফায় সারেং হোটেলে আক্রমণ চালায় । হোটেলের থাই গ্লাস ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীরা।

এসময় এলাকাবাসী প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার  ঘটনা ঘটে । উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে তৎক্ষণাৎ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয় । পরে রাত ১টায় ত্রিশাল থানা থেকে পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হলে শিক্ষার্থীরা পিছু হটে । 

সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা হলের রাস্তার পাশের রুমগুলোতে পাথর ছুড়ে মারে এলাকাবাসীরা। এতে কয়েকটি কক্ষের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। এ ছাড়াও ২নং গেট ও বটতলা সংলগ্ন মেসগুলোতেও হামলা চালায় এলাকাবাসীরা। এরপর আরও উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীরা হামলা চালায় ও কয়েক দফা সারেং হোটেল ভাঙচুর করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, ২ নং গেইট সংলগ্ন এলাকায় এখনো থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে । বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ সবাই একত্রিত হয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে । যেকোনো সময় আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে, আমরা সতর্কভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে যাচ্ছি ।

এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, হোটেলের খাবারের মানের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আমার । এসব বিষয় নিয়ে আমরা যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেই । পরবর্তীতে আমাদের মনিটরিং থাকবে। এমন কোন বিষয় ঘটলে আমাদের জানালে সাথে সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে, কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে বলে মনে করছি না । তবুও পুলিশের টহল বাহিনী সেখানে অবস্থান করবে ।

সার্কেল এএসপি (ত্রিশাল) অরিত সরকার বলেন, খাবারের মান নিয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by