খুলনা

খুলনা -৬ আসনে নৌকা -ঈগল প্রার্থীর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি

  প্রতিনিধি ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৪:৩৮:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

খুলনা -৬ আসনে নৌকা -ঈগল প্রার্থীর উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি

খুলনা-৬ আসনে ঈগলের নজর জামায়াত-বিএনপির ভোটে নৌকার প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জি: মাহবুবুল আলম।চারিদিকে নদী ও সুন্দরবন বেষ্টিত বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা পাইকগাছা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসন।

সুন্দরবনের জন্য এই আসনটি প্রশিদ্ধ ও দেশব্যাপী পরিচিত। সুন্দরবনের মধু, গোলপাতা, মাছ আহরণ এবং মৎস্য ঘের করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে এখানকার ৮০ ভাগ  মানুষ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা চলছে এখানে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। মানুষের কাছে চাইছেন দোয়া ও যার যার প্রতীকে ভোট। বিএনপি জামাত নির্বাচনে না আসলেও তাদের ভোট কেন্দ্রে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুর দেখা গেছে, প্রার্থীদের প্যানা পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লা।

দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি পিছিয়ে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তবে এই  আসনের ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীক নিয়ে জি এম মাহবুবুল আলম প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আছেন।প্রতিযোগিতামূলকভাবে এই দুই প্রার্থী একই নিয়মে প্রচার, মিছিল, উঠান বৈঠক, পথসভা ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।নিরলসভাবে এসব কর্মসূচি পালন করে আসছেন প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই। 

কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন সাংগঠনিকভাবে খুবই শক্তিশালী। পাশাপাশি কয়রা ও পাইকগাছাসহ সারা দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে দলটি। তাই এলাকায় আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক তৈরী হয়েছে। সাধারণ মানুষও এখন অনেক সচেতন তারা নৌকার বাইরে ভোট দিবেন না।নৌকা যে গণজোয়ার বইছে, নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।

স্থানীয়রা বলছেন, জামাত বিএনপি ভোটে না আশায় স্বতন্ত্র ঈগল মার্কার প্রার্থীর নজর জামাত-বিএনপির ভোটের দিকে। তাদের ভোট কেন্দ্রে আনতে জোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগদ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাদক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কিছু নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়ে মাঠে জোরে সোরে ভোট যুদ্ধে নেমে পড়ায় নৌকা প্রতীক নিয়ে মো. রশীদুজ্জামান মোড়লের ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের ধারণা, ভোটের মাঠ জমে উঠেছে। ৭ জানুয়ারী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মো. রশীদুজ্জামান ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাদক্ষ্য স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলমের মধ্যেই দ্বিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে না আসলে নৌকা ব্যাপক ভোটে বিজয়ী হবে। নৌকার প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান বলেন, ‘আমি দলীয় সমর্থক ও নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সমর্থন পাচ্ছি।

দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে গিয়ে আমরা নৌকা মার্কার পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’ নিজের এলাকার উন্নয়নে তার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কয়রা পাইকগাছার সাধারণ মানুষ একজোট হয়েছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা -৬ কয়রা- পাইকগাছা আসনে নৌকার পক্ষেই রায় দেবে কয়রা পাইকগাছাবাসী।’

স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাদক্ষ  ইঞ্জি: মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দীর্ঘদিন সরকারের উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ডের চিত্র সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে রাজনীতির মাঠে আছি। মনোনয়ন চেয়েছিলাম পায়নি নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ চেয়েছে তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আমার সাথে। ভোট অবাধ -সুস্থ ও নিরপেক্ষ হলে বিজেয়ের হাসি আমরাই হাসব ইনশাআল্লাহ।

’জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, ‘মহাজোটের মনোনয়ন চেয়েছিলাম ভেবেছিলাম খুলনা ৬ আমাকেই দেবে পাইনি সে জন্য নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দ্রুত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাড়াব।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by