দেশজুড়ে

গঙ্গাচড়ায় তিস্তার ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক 

  প্রতিনিধি ২ জুন ২০২০ , ৮:৪৪:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি : গঙ্গাচড়ায় গ্রোয়েন বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার নোহালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক। জানা যায়, সাম্প্রতিককালে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে নোহালী ইউনিয়নের সোটামারী এলাকায় গ্রোয়েন বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ধ্বসে পরে বøক পিচিং। এলাকাবাসী আশংকা করছেন আসন্ন বর্ষার আগে গ্রোয়েন বাঁধটি রক্ষা না করলে তিস্তার পানি মূল বাঁধে আঘাত করবে। আর মূল বাঁধ ভেঙ্গে গেলে পানি এসে পরবে ঘাঘট নদীতে। আর সেই পানিতে রংপুর শহরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। তিস্তার ডানতীর মুল বাঁধ রক্ষার্থে পানির গতিপথ পরিবর্তন করার জন্য ২০০১ সালে গ্রোয়েন বাঁধটি নির্মাণ করে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু তিস্তার পানি গতিপথ পরিবর্তন না করে মুল বাঁধের দিকে এগিয়ে আসছে তিস্তা। এতে গ্রোয়েন বাঁধ এলাকায় আবাদি জমিসহ ফসলের ক্ষেত নদীতে বিলীন হচ্ছে। কয়েকদিন আগে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে সেই বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরী ভিত্তিতে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। তারপরও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ প্রস্তুত করে রাখছে। ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম, রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, নোহালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ টিটুল উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, টি হেড গ্রোয়েন বাঁধটি ২০০০ সালে নির্মাণ করা হয়। পানির গতিপথ পরিবর্তন এবং বাঁধের উজানে ও ভাটিতে ফসলি জমি রক্ষার জন্য এটি করা হয়। তাই গ্রোয়েন বাঁধটি রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে বালুর বস্তা ডাম্পিং করা হচ্ছে। তিনি আরও বলে গ্রোয়েন ছাড়াও অন্যান্য এরাকার ভাঙ্গন রক্ষার্থে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। অনুমোদন পেলে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করা হবে।
 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by