আন্তর্জাতিক

গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ‘মূল সমস্যার’ সমাধান করবে না: জাতিসংঘ

  প্রতিনিধি ২৯ নভেম্বর ২০২৩ , ৩:৩৩:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ‘মূল সমস্যার’ সমাধান করবে না: জাতিসংঘ

টানা দেড় মাসের সংঘাতের পর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে এখন সাময়িক যুদ্ধবিরতি চলছে। প্রথম দফায় চারদিনের যুদ্ধবিরতির পর সেটি আরও দুইদিন বাড়ানো হয়েছে। সংঘাতে সাময়িক এই বিরতি শেষ হওয়ার পরপরই লড়াই নতুন করে শুরু হতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ‘মূল সমস্যার’ সমাধান করবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গাজায় নাটকীয় মানবিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিয়ে জাতিসংঘের প্রধান মঙ্গলবার বলেছেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে সংঘাতে মানবিক বিরতি মূল সমস্যার সমাধান করে না।

এদিন আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারপারসন মুসা ফাকির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘প্রথমত, আমি বলতে চাই- যুদ্ধবিরতি ছিল সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ। এটি ছিল আশার প্রতীক। কিন্তু এটি আমাদের প্রধান সমস্যাগুলোর সমাধান করে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণেই আমরা মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি। যার ফলে বন্দিদের নিঃশর্ত ও অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া এবং গাজার সমস্ত লোককে কার্যকর মানবিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।’

প্রসঙ্গত, গাজায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে। দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার চারদিনের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল। যদিও ইসরায়েল হুমকি দিয়ে রেখেছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই তারা আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু করবে।

এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি সরকারের জন্য তার বার্তা কী হবে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে গুতেরেস বলেন: ‘আমার বার্তা খুব স্পষ্ট। আমাদের একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাজায় বর্তমানে নাটকীয় মানবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একইসাথে, আমরা (গাজায় আটক) সকল বন্দির মুক্তি চাই। আমরা বিশ্বাস করি এই মুক্তি নিঃশর্ত এবং অবিলম্বে হওয়া উচিত। তবে আমাদের এখন গাজায় একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by