দেশজুড়ে

গৃহশ্রমিক সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালার বাস্তবায়ন চায় গৃহশ্রমিকেরা

  প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২৩ , ৫:০০:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

Home worker

বাসা-বাড়িতে কর্মরত গৃহশ্রমিকের জন্য তৈরিকৃত সুরক্ষা নীতিমালা-২০১৫ এর বাস্তবায়ন চায় গৃহশ্রমিকরা।

গত ২৬শে আগস্ট ২০২৩, শনিবার ঢাকার মগবাজারের মধুবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কমপ্লেক্সে অক্সফাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় ডেমোক্রেসি ওয়াচ স্টেক হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানায় গৃহশ্রমিকরা।

মত বিনিময় সভায় সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে অংশ নেয় গৃহশ্রমিকেরাও। তারা জানায়, তাদের কর্মে নিয়োগের সময় মৌখিক ভাবেই কর্ম ঠিক ও নিয়োগ দেয়া হয়। কখনো কোনো কারনে কাজে যেতে না পারলে বেতন কেটে রাখা হয়। এছাড়া পরবর্তী কর্মদিবসে বাড়তি কাজও করিয়ে নেয় গৃহকর্তারা। কোনো দুর্ঘটনা হলেও কোন রকমের সাহায্য- সহযোগিতা তারা পায় না। এছাড়াও শিকার হতে হয় নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের।

২০১৫ সালে গৃহ শ্রমিকদের জন্য তৈরীকৃত সুরক্ষা নীতিমালায় তাদের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার স্বার্থে কর্ম নির্ধারণের চুক্তিপত্র সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ আছে। গৃহ শ্রমিকরা চায় এই সুরক্ষা নীতিমালাটি যেন আইনে বাস্তবায়ন হয়। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান বাবু ডেমোক্রেসি ওয়াচের এই উদ্যোগের প্রশংসার করে বলেন, যদি এই সুরক্ষা নীতিমালাটি বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে তা খুবই ভালো হবে।

নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো যদি গৃহ শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হয় তাহলে অনেক গৃহশ্রমিকের নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব হবে। গৃহশ্রমিকরা যে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয় তা রোধে পুলিশ প্রশাসনকে আরও সচেতন হতে অনুরোধ করেন আলোচকবৃন্দ।

হাতিরঝিল সাংবাদিক ফোরামের আহ্বায়ক সায়েদুল ইসলাম বাদল প্রচারের প্রসার ঘটানোর জন্য ডেমোক্রেসি ওয়াচকে পরামর্শ দেন। উপস্থিত স্থানীয় কাজী বলেন, আমাদের সবার মতো তাদের জন্যও এটি তাদের কর্ম যা থেকে উপার্জিত অর্থে তাদের সংসার চলে। তাদের প্রতি আমাদের যেমন দায়িত্ব কর্তব্য আছে, আমাদের প্রতিও তাদের দায়িত্ব কর্তব্য আছে। তবে জরুরি বিষয় হলো উভয়ের মধ্যে সম্মান ও বিশ্বাস থাকতে হবে।

এছাড়া উপস্থিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গৃহশ্রমিকরা কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার হলে তাদেরকে মামলায় সাহায্য- সহযোগিতায় ও তাদের পাশে পুলিশ প্রশাসন থাকবে বলে আশ্বাস দেন। উপস্থিত অন্যান্যদের মতামত থেকে উঠে আসে যে, নীতিমালা বাস্তবায়ন প্রয়োজন যা গৃহশ্রমিক নির্যাতন বন্ধে যেমন সহায়ক হবে তেমনি গৃহশ্রমিক ও নিয়োগকর্তা উভয়েরই প্রাপ্যতা পূর্ণ হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by