ঢাকা

গোপালগঞ্জে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে বিভিন্ন মসজিদে সদর থানা পুলিশের প্রচারণা 

  প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০২১ , ১০:১০:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দেশজুড়ে করোনা (কোভিড-১৯) ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে। গোপালগঞ্জেও এ সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার কম নয়। গোপালগঞ্জে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলমান থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে এক শ্রেণির জনগণকে ঘরের বাহিরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারছেন না জেলা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী-বাহিনী, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব সহ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। এদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অকারণে ঘরের বাহিরে বেরিয়ে করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমনের প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। যা গোপালগঞ্জবাসীর জন্য রীতিমত  উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ লক্ষ্যে গত শুক্রবার (৯ জুলাই) পবিত্র জুম্মার নামাজের খুতবার পূর্বে গোপালগঞ্জ সদর থানার আওতাভুক্ত লতিফপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর উত্তরপাড়া বায়তুর রহমান জামে মসজিদে করোনা সংক্রান্তে বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা রেঞ্জের পক্ষে মসজিদ ভিত্তিক প্রচারনার অংশ হিসেবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ ব্যাপক প্রচার- প্রচারণা শুরু করেছেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম করোনা মোকাবেলায় গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের খুতবার পূর্বে মুসল্লিদেরকে উদ্দেশ্য করে  বলেন, গোপালগঞ্জ সদরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার ও মৃতের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে। কঠোর লকডাউন কার্যকর করে এবং সরকারি বিধিনিষেধ অমান্যকারীদেরকে জরিমানা ও গ্রেফতার করেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঘরের বাহিরে বের হওয়া এক শ্রেণির লোকজনকে ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি ক্রমে বেড়েই চলেছে।
ওসি মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় মাস্ক ব্যবহার না করে কোন উপায় নেই। জরুরি প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাহিরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মানুষ সামাজিক জীব, সে সমাজে একা-একা বসবাস করতে পারে না। সেজন্য তাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বসবাস করতে হয়। যেহেতু করোনা একটি ছোঁয়াচে রোগ এবং তা মানুষের সংস্পর্শেই ছড়ায়। আপনার অসাবধানতায় যদি করোনা আপনার সাথেই আপনার বাড়িতে পৌঁছায়। তাহলে আপনার পরিবারের আপন জনেরাও এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে
মৃত্যুঝুকিতে পৌঁছে যাবে। তাই এখনো সময় আছে আপনারা সচেতন হোন, পরিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনি নিজে বাঁচুন এবং আপনার পরিবারের প্রিয়জনদেরকে বাঁচাতে সচেষ্ট হোন। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আপনাদেরকে নিরাপদে রাখতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বাহিরে দায়িত্ব পালন করছেন। অনুগ্রহ করে আপনারা ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন।

Powered by