ঢাকা

গোপালগঞ্জে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে এলজিইডি’র উদ্যোগে প্রশিক্ষণ ও বীজ প্রদান 

  প্রতিনিধি ৩ মে ২০২৩ , ৭:০৩:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 
গোপালগঞ্জে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর উদ্যোগে প্রশিক্ষণ ও বীজ প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক গোপালগঞ্জে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী পদে যোগদানের পর থেকেই তিনি সুনিপুণ কর্মদক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি পালন করে চলেছেন। তার অক্লান্ত চেষ্টা, দূরদর্শিতা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে জেলায় খুব স্বল্পতম সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি-ঘোপেরডাঙ্গা (এসপি নং-৩৫১৬০) উপ-প্রকল্পটি ২০১২ সালে নিবন্ধিত হয়। পাবসস এর সদস্য সংখ্যা ৫৪৫ জন (এরমধ্যে পুরুষ ৩৩১ জন ও মহিলা ২১৪ জন)। উপ-প্রকল্পের আওতায় মোট জমির পরিমাণ ৮৪০ হেক্টর। উপকারভোগী ৭১৬ হেক্টর। প্রকল্পের আওতায় তিনটি গ্রাম, একটি বড় খাল ও ছয়টি সংযোগ খাল যার দৈর্ঘ্য ৮.৩ কিলোমিটার এবং ৩.৫ কি.মি বেড়ীবাঁধ রয়েছে। উপ-প্রকল্পের ভিতরে ১১টি ঘের, ৯৭টি পুকুর ও ১৫০ হেক্টর নিচু ভূমি রয়েছে। দ্বিতীয় ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হওয়ায় উপ-প্রকল্পটিকে অতিরিক্ত উন্নয়নের আওতায় আনা হয়েছে। এতে ০৭টি খাল রয়েছে যার মোট ৮.৩ কি.মি এর মধ্যে পুনঃখনন ও ৩.৫ কি.মি বেড়ীবাঁধ করা হয়। খালগুলো পুনঃখনন ও বাঁধ দেওয়ার ফলে এক ফসলি জমিতে দুই ফসল ও দুই ফসলের জমিতে তিন ফসল ফলানো হয়েছে। উপ-প্রকল্পের আওতায় কৃষি, মৎস্য, সেলাই মেশিন, হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সফলভাবে প্রশিক্ষণের পর সমিতির সদস্যদের ধান গবেষণা থেকে ৫০ জন সদস্যকে উচ্চ-ফলনশীল জাতের বীজ প্রদান করা হয়। এ বছর একর প্রতি ৩৫ থেকে ৩৭ মন ধান উৎপাদন হয়েছে, ভালো উৎপাদন হওয়ায় ধান গবেষণার কাউন্সিলের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপসের কার্যকরিতা যাচাই বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ এর প্রদর্শনী ট্রায়ালের মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আখতার। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধান গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড.মোহাম্মদ বখতিয়ার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ।
উপ-প্রকল্প এলাকায় সমিতির সদস্যদের প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেলাই প্রশিক্ষণের পর সেলাই কাজ করে প্রতিটি নারী সদস্য মাসে ৫–৭ হাজার টাকা আয় করেন। হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর প্রশিক্ষণের পর সমিতির সদস্যগণ সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু পালন করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by