প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২০ , ১২:৩৩:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে খামারি ও গৃহস্থরা বিপাকে পড়েছেন। যে ঘাসের আঁটি বন্যার আগে ১০ টাকা ছিল, সেটি এখন ২৫ থেকে ৩০ টাকা হয়েছে। যে খড় ছিল ৫/৬ টাকা কেজি, সেটি এখন ২০ টাকা। এ ছাড় ছাড়া বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই দ্রুত চাষ দিয়ে ফসল ফলানোর কাজ করছে। ফাঁকা কোনো গো-চারণ ভূমিও নেই। এমতাবস্থায় গরু, ছাগল, ভেড়া নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন।
জানা গেছে, এবার বন্যা শুরুর পর থেকেই গোটা উত্তরাঞ্চলসহ দেশের ৩৮টি বন্যা উপদ্রুত এলাকায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এখন এ সংকট আরও তীব্র হয়েছে। কারণ বন্যায় ঘাসের জমি, আউশ, বোনা আমন সব ডুবে গেছে। বোরো ধানের খড় এমনিতেই কম হয়। এই খড় গো-খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারে না। ফলে গৃহস্থরা সারা বছর আমনের খড় দিয়েই চাহিদা মেটান। এবার বোরো ধান কাটার সময় বৃষ্টিতে অনেকের খড় পচে গেছে। তাছাড়া বন্যায় অনেকের খড় ডুবে নষ্ট হয়েছে।
এমন অবস্থা বগুড়ার মত গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলায়ও। সেখানে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট চলছে। যারা পশু লালন-পালন করেন, তারা খুব বিপদের মধ্যে আছেন। বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তারা ঘাস, খড় ও ভুসিসহ সব কিছুই অতিরিক্ত দামে কিনে গরু লালন-পালন করছেন। অনেকের হাতে টাকা নেই। কেউ কেউ কচুরিপানা, লতাপাতা, তরকারির খোসা, বেঁচে ফেলে দেয়া শাক ও বাজারের ফেলে দেয়া তরিতরকারি কুড়িয়ে এনে খাওয়াচ্ছেন। সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা, শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, উল্লাপাড়া এবং কাজীপুর উপজেলার অধিকাংশ বাসিন্দাদের পেশা গবাদি পশু পালন। বন্যাকবলিত হয়ে পড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, মোট আট হাজার ৫৬২ একর গো-চারণ ভূমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ৭৭০ টন ঘাস এবং ৫৮৮ টন খড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক মাসের বন্যায়। প্রায় ১০ লাখ গরু, তিন লাখ ছাগল এবং দেড় লাখ ভেড়া পালন করছেন জেলার খামারিরা।