চট্টগ্রাম

ঘুমধুমের এসএসসি পরীক্ষা হলো উখিয়া কেন্দ্রে

  প্রতিনিধি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৭:১৯:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সরিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বাস, সিএনজি অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ১৫ কিলোমিটার দূরের স্থানান্তরিত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। পরে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজকের বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অংশ নেন তারা।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘুমধুমের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রটি উখিয়ায় স্থানান্তর করা হয়।

জানা যায়, ঘুমধুম কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উখিয়ার কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে সকাল থেকেই একাধিক বাস, সিএনজি অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনের ব্যবস্থা করে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ, জেলা পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ।

এসময় পরীক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয় উখিয়া থানা পুলিশ। ঘুমধুম থেকে কুতুপালং কেন্দ্রে পৌঁছাতে তাদের সময় লেগেছে ৩৫ থেকে ৪৫ মিনিট।

এদিকে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বশর জানান, ১০টি কক্ষে সকাল ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এতে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়, বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ৪৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।

অন্যদিকে, পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে বাসের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রলীগ। উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, তারা চারটি বাসে সকাল থেকে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।

তিনি আরো জানান, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে বাসের ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষা শেষেও তাদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এছাড়াও উখিয়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য দুটি বাস দেওয়া হয়।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বরাদ্দকৃত বাস যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন হবে ততক্ষণ স্ট্যান্ডবাই থাকবে।

পরীক্ষা দিতে আসা ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার বলেন, পরীক্ষা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমাদের এলাকার অবস্থা ভালো না। সকালেও কেন্দ্রে আসার সময় গুলির শব্দ শুনেছি।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়ার জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহত ও পাঁচজন আহত হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by