চট্টগ্রাম

ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতে বাঁশখালীর অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন

  প্রতিনিধি ২৬ অক্টোবর ২০২৩ , ৫:১৯:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতে বাঁশখালীর অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন

ঘূর্ণিঝড় হামুনে লন্ডভন্ড বাঁশখালী। প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে বাঁশখালীর অভ্যন্তরিণ সড়কে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে প্রায় দেড় হাজার গাছ ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের লাইনের উপর। এতে দেড়শতাধিক বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙে যায়। হেলে পড়ে আড়াই শতাধিক খুটি। এক হাজারের অধিক মিটার ভেঙে যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি সচল করতে মাঠে কাজ করছে বিদ্যুৎ সংশ্লীষ্ট (লাইনম্যান) শ্রমিক। বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, হামুনে চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাঁশখালী জোনাল অফিসে ক্ষয়ক্ষতি আনুমানিক ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। লাইন চালু হতে আনুমানিক ৭/৮দিন সময় লাগতে পারে।

সুপেয় পানির একমাত্র ভরসা বাঁশখালী পল্লীবিদ্যুৎ। বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বেশীরভাগ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ায় মোটরচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা হয়। বিদ্যুৎ না থাকলে পানীয়জলের তীব্র সংকটে পড়তে হয় বাঁশখালী জনপদের হাজার হাজার পরিবারকে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। যার কারণে মোটরচালিত নলকুপ নির্ভর লোকজন সুপেয় পানির সংকটে হাহাকার। গত মঙ্গলবার রাতে বয়ে যাওয়া হামুনের প্রভাবে বিদ্যুৎবিহীন বাঁশখালী উপজেলা। অনেকেই কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পানির জন্য ভিড় করছে হস্তচালিত নলকুপে। দীর্ঘ লাইনে পানির জন্য উন্মুখ হতে দেখা যায় গ্রামের লোকজনদের।
আবাসিক-অনাবাসিক সহ প্রায় ১ লক্ষ ২১ হাজার গ্রাহকদের সেবা দিতে চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১, বাঁশখালী জোনাল অফিস সহ উপজেলার নাপোড়া, জলদী, বৈলছড়ি, গুনাগরি ৪ টি সাবস্টেশন রয়েছে। দীর্ঘ ৫৭ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে দোহাজারী গ্রীড হয়ে বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ আসে। এতে কোন স্থানে বিদ্যুৎ লাইনের সমস্যা হলে সাময়িক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। লোকবল কম থাকায় অনেক সময় বিচ্ছিন্ন সংযোগ চালু করতে সময় লাগে। সড়কে গাছপালা থাকার কারণে অব্যবস্থাপনার ফলে বৃষ্টি-বাদলের সময় এমনিতেই সাময়িক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে গাছের ডালপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের খুটির উপর পড়া, খুটি ভেঙে যাওয়া, মিটার ভেঙে যাওয়াসহ নানা প্রতিবন্ধিকতায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বিদ্যুৎবিহীন সরকারী-বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর সেবাকার্যক্রমও হয়ে পড়েছে গতিহীন।

বাঁশখালী পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) ঋষি কুমার ঘোষ বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বাঁশখালী উপজেলা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বেশীরভাগ গাছপালা বিদ্যুতের খুটির উপর পড়েছে। এতে দেড়শতাধিক বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙে যায়। হেলে পড়ে আড়াই শতাধিক খুটি। এক হাজারের অধিক মিটার ভেঙে যায়। মাঠে আমাদের লাইনম্যান কাজ করছে। প্রধান সড়ক সংযুক্ত লাইনগুলো আর কয়েকদিন পর চালু হবে। তবে পুরো বাঁশখালীতে বিদ্যুৎ সংযোগ চাল করতে আরো ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগবে। আমাদের লাইনম্যান কুয়িক রেসপন্সে কাজ করছে। আমরা দ্রুতই বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by