চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত

  প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৪:১১:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রামে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর সার্কিট হাউজ এর সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এছাড়াও অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, পুলিশ অতিরিক্ত কমিশনার এম এ মাসুদ, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ্ বিপিএম (সেবা), বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর উদ্দিন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত ইউনিট কমান্ডার এ কে এম সরোয়ার কামাল বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সে যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। কেউ সরাসরি যুদ্ধে অংশগহণ করেছে, কেউ বা ঘরে আশ্রয় দিয়ে আবার কেউ বা তথ্য কিংবা খাবার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করেছিল। এদের মধ্যে আর একটা শ্রেণী ছিল যারা দেশে বসবাস করে পাকিস্তানীদের এজেন্ট হিসেবে দেশের মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেশকে স্বাধীন করার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তার আগমুহূর্তে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের এজেন্টদের সহযোগীতায় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা তৈরী করে। তার অংশ হিসেবে তারা প্রায় ১ হাজার ৫শত দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী হত্যা করে। সেদিন বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, গবেষক এমনকি প্রগতিশীল লোককেও তার হত্যা করে।

বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা পাওয়ার পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত এবং মেধাশূন্য একটি দেশ যেখানে বিদ্ধস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভঙ্গুর প্রায় অর্থনীতি হওয়া সত্ত্বেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই ঘাতকরা জাতির পিতাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও যাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ঘুরে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশ এখন একটি বিষ্ময়ের নাম। এখন পাকিস্তানীরা তাদের সরকারের কাছে দাবি করে পাকিস্তানকে যেন বাংলাদেশের অর্থনীতির মতন শক্তিশালী করে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বসবাস করে যারা এখনো দেশের স্বাধীনতার ও অগ্রগতিকে মেনে নিতে চায় না, সেই রাজাকার ও রাজাকারের সন্তানদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা। একই সাথে নতুন প্রজন্মকে দেশ বিরোধী অপশক্তির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্তক থাকার অনুরোধ জানান।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by