চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরে বিএনপি’র ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

  আবু তাহের ২৭ মার্চ ২০২৪ , ৭:১২:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম মহানগরে বিএনপি’র ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, সুশীল সমাজ, কৃষক ও শ্রমিকের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া গণঐক্যকে সামনে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইফতার মাহফিল হবে কি হবে না সেটা এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে। কোন দেশে আছি চিন্তা করেন, ইফতার মাহফিলে নাকি কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। ব্যাংক খালি হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ দুবেলা খেতে পারছে না। আর ইফতার মাহফিলে নাকি কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। এ জন্য আমি বলেছি ইফতার মাহফিল বেশি বেশি করতে হবে। প্রতিদিন করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকালে কাজীর দেউরীস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে পবিত্র মাহে রমজান ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, তারিকুল ইসলাম তেনজিং।

এতে বিগত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে শুরু করে ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচন পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৭শ জন কারা নির্যাতিত নেতাকর্মী ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, যার ডাকে বাংলাদেশের মানুষ উজ্জীবিত হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যার যা ছিল হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।

আর যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তাদের বেশিরভাগ লোক ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল সেদিন। যুদ্ধক্ষেত্রে ছিল বাংলাদেশের সৈনিক, যুবক ও মুক্তিকামী যোদ্ধারা। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শুধু শেষ করেননি। সম্মুখ সারিতে যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছে।

বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে হানাদার বাহিনী এ দেশকে দখল করেছিল বিধায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল সেদিন। স্বাধীনতার এত বছর পরে সব অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। গত তিন থেকে চারটি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by