সিলেট

চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের’ অস্থিত্বের খোঁজ চালাচ্ছে প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর

  প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২০ , ৭:৩৮:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের’ অস্থিত্বের খোঁজ চালাচ্ছে প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর

মহসিন আহমদ, রাজনগর (মৌলভীবাজার) : মৌলভীবাজারের প্রাচীন “চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ধান চালিয়েছে প্রতœতত্ত¡ প্রতিনিধি দল। স¤প্রতি সরেজমিনে ওই বিশ্ব বিদ্যালয় অনুসন্ধান চালালে জেলার রাজনগর উপজেলায় উদ্ধারকৃত পশ্চিমভাগ তাম্রলিপি উদঘাটন স্থলের সন্ধান পায় দলটি। অনুসন্ধানের শেষ দিনে উপজেলার পাঁচগাও ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামের পরেশ পালের বাড়ি থেকে তাম্রলিপি উদ্ধারের বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে প্রতিনিধি দল। এ দিকে রাজনগর সদর ইউনিয়নের “কমলা রাণীর দীঘির” হাজার বছরের পুরানো ঘাটের সন্ধান ও ইট উদ্ধার এবং বেশ কিছু সমাধির সন্ধান পেয়েছেন তারা। প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট অ লের প্রতিনিধি দল গত ২৫ জুলাই থেকে জেলার ভাটেরাটিলা, জুড়ীর সাগরনাল এবং রাজনগরের পশ্চিমভাগ গ্রামে অনুসন্ধান ও সার্ভে শুরু করে। অনুসন্ধানী টিম প্রাচীন চন্দ্রপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান পাঁচগাঁও কিংবা সাগরনাল রয়েছে এমনটি নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে কুলাউড়া উপজেলার কলিমাবাদ গ্রামের ভাটেরা টিলা ও রাজনগর উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামে আদি ঐতিহাসিক নির্দশন রয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভাটেরাটিলা এবং পশ্চিমভাগ গ্রাম থেকে মাটির পাতিলের কিছু পুরানো ভাঙ্গা অংশ সংগ্রহ করেছেন। কুলাউড়ার ভাটেরাটিলা এবং রাজনগরের খনন কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নির্দশন পাওয়া যেতে পারে বলে প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. আতাউর রহমান আশা প্রকাশ করেছেন। রাজনগরের পশ্চিমভাগ গ্রামের বৃদ্ধ পরেশ পাল জানান, ৬০’র দশকের প্রথম দিকে পুকুর খননের সময় সংস্কৃত ভাষায় লেখা পশ্চিমভাগ শিলালিপি উদ্ধার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে শিলালিপিটি জাতীয় জাদুঘরে রাখা হয়। এ দিকে রাজনগর সদর ইউনিয়নের গড়গাঁও গ্রামে শাহ কুতুব (র.) এর মাজারের পাশে রাজা সুবিদ নারায়ণ চৌধুরীর খনন করা কমলা রাণীর দীঘির পুরানো ঘাটের কিছু অংশে ইটের কারুকাজের সন্ধান পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ওই দীঘির পশ্চিম ও দক্ষিণপাড়ে একাধিক পুরোনো কবর রয়েছে। তার মধ্যে বিশেষ শৌকর্যপূর্ণ দু’টি কবরের সন্ধান পেয়েছেন অনুসন্ধানী দলের সদস্যরা। এ কবর দু’টি রাজ পরিবারের কতিপয় সদস্যদের সমাধিস্থল হতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন। প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও সিলেটের আ লিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান বলেন, সংগ্রহ করা বিভিন্ন আলামতে অনুমান করা যাচ্ছে কুলাউড়ার ভাটেরাটিলা এবং রাজনগরের পশ্চিমভাগ গ্রামে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও জানান কাঙ্খিত প্রাচীন চন্দ্রপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের কোন সন্ধান এখনো পাইনি আমরা। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের সাথে আরও ছিলেন প্রতœতত্ত¡ অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার শাহীন আলম, সহকারী কাস্টোডিয়ান হাফিজুর রহমান, গষেণা সহকারী ওমর ফারুক ও সার্ভেয়ার চাইথোয়াই মার্মা। প্রতিনিধি দল গত ২৫ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত মৌলভীবাজারের জুড়ী সীমান্তবর্তী উত্তর সাগরনাল, কুলাউড়ার ভাটেরাটিলা ও রাজনগর উপজেলার গড়গাঁও এবং পশ্চিমভাগ গ্রামে অনুসন্ধান সার্ভে পরিচালনা করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by