চট্টগ্রাম

চুয়েটে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত

  প্রতিনিধি ২৫ মার্চ ২০২৪ , ৭:১৮:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

চুয়েটে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালিত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “১৯৭৫ সালের পরে স্বাধীনতার নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস চেপে রেখেছিল।

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু করেন। ২০০৯ সাল থেকে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরে সেটাকে তিনি একটা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে আসেন। ১৯৭১ সালের সেই ভয়াল দিনগুলোতে চুয়েট ক্যাম্পাসও মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রক্তস্নাত হয়েছিল। চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী শহীদ মোহাম্মদ শাহ এবং শহীদ তারেক হুদা-সহ এই অঞ্চলের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত গণহত্যা ও ঐতিহাসিক মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মৃতিচারণ এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের প্রভোস্ট এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. হারুন-উর-রশিদ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ হুমায়ুন করিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, শিক্ষক সমিতির পক্ষে সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, কর্মকর্তা সমিতির পক্ষে দপ্তর সম্পাদক মো. রুবেল মাহমুদ ও কর্মচারীদের পক্ষে মো. আব্দুর আল হান্নান।

অনুষ্ঠানমালা সঞ্চালনা উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ও উপাচার্য কার্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে ২৫শে মার্চের গণহত্যা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। পরে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী নুরুল্লাহ।

গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী অন্যান্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল- বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া, মোনাজাত ও তবারুক বিতরণ এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০:৩১টা পর্যন্ত এক মিনিটের জন্য প্রতীকী ব্ল্যাকআউট ও পরে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। উক্ত ব্ল্যাকআউটে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by