চট্টগ্রাম

জোরপূর্বক দোকান বন্ধ করে দিল প্রধান শিক্ষক

  প্রতিনিধি ৬ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:০৯:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ

জোরপূর্বক দোকান বন্ধ করে দিল প্রধান শিক্ষক

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জোরপূর্বক দোকান বন্ধ করে মালামাল নষ্টের অভিযোগ উঠেছে এক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উপজেলার ধলই ইউনিয়নের এনায়েতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার ও সভাপতি মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন নাজিম উদ্দিন খাঁন নামে এক ব্যক্তি। গত (২৩ অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন নাজিম উদ্দিন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত নাজিম উদ্দিন বিদ্যালয়ের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে দিনযাপন করছেন। করোনাকালীন ব্যবসা করতে না পারায় ভাড়া নিয়ে একটু সমস্যা হলেও পরে তা সমাধান হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ওনাকে গালি দিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে তাকে দোকান দিয়ে ফেলার নোটিশ প্রদান করেন। মূলত তিনি ২০১৯ সালে স্থগিত হওয়া পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাকে এই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান নাজিম। পরে তিনি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে প্রধান শিক্ষক নুরুল আবছার তাকে কেউ কিছু করতে পারবেনা বলে ছাফ জানিয়ে দেন। এদিকে গত প্রায় ৫ মাস ধরে তার এই দোকানটি বন্ধ রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রাধন শিক্ষক নুরুল আবছার জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুসারে দোকান ভেঙে ফেলার নির্দেশ রয়েছে। যার ফলে এই দোকানটি আমরা ভেঙে ফেলব। দোকানিকে নোটিশ দিলেও তিনি কোন সাড়া দেননা। এছাড়া তিনি বিদ্যুৎতের লাইন নিয়ে নানা প্রতারনা করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, তিনি অনেকদিন যাবত ভাড়া দেননি এবং অনেক বিদ্যুৎ বিল বকেয়া করেছেন তাই তার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে এবিষয়ে নিয়ে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল মনছুর প্রতিবেদককে জানান, প্রধান শিক্ষক কারো কথা শুনেন না। তিনি যেটা ভাল মনে করেন সেটাই করেন। তিনি কোন চেয়ারম্যান কিংবা অন্য কারো কথাতে কান দেননা। তাকে আমি এই বিষয়ে কয়েকবার ফোন করেছিলাম কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেননি। তিনি (প্রধান শিক্ষক) এবং সভাপতি নানা অনিয়মে জর্জরিত করে প্রতিষ্ঠানটি নিঃশেষ করে দেয়ার অভিযোগও করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম মশিউজ্জামান বলেন, যেহেতু অভিযোগ হয়েছে বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by