চট্টগ্রাম

ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজীর অভিযোগে এএসপি(সার্কেল) অফিস ঘেরাও

  প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২৩ , ৫:৫৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজীর অভিযোগে এএসপি(সার্কেল) অফিস ঘেরাও

কুমিল্লার দেবীদ্বারে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজী ও হয়রানির অভিযোগে এনে এএসপি (সার্কেল) অফিস ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ করে দেবিদ্বার টু চান্দিনা রোডের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা।

রবিবার ১লা অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পযর্ন্ত সড়ক অবরোধ ও এএসপি(সার্কেল) অফিস ঘেরাও করে চালকরা।

ঘটনার বিষয়ে অটোরিকশা চালক নাজমুল জানান, সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটের সময় একটি সিজারের রোগী নিয়ে দেবিদ্বারে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পথে দেবিদ্বার টু চান্দিনা রোডের সাথে দেবিদ্বার সার্কেল এএসপি অফিসের সামনে ট্রাফিক সাজেন্ট মুজাহিদুল আমার গাড়ি আটক করে। আমি সাজেন্ট পুলিশকে অনুরোধ করি সিজারের রোগী ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কেন আটক করা হয়েছে বিষয়ে জানতে চাইলে বলে পাঁচ হাজার টাকার মামলা দশ হাজার হবে। এভাবে করে ৫-৬ টি গাড়ি আটক করে। প্রত্যেককে পাঁচ ও আট হাজার টাকার মামলা দেয়া হয়। আমরা সকল চালকরা কিসের মামলা জানতে চাইলে বলে এএসপি সার্কেল অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে। পরে আমরা সকল চালকরা গাড়ি নিয়ে এখানে অবস্থান ও সড়ক অবরোধ করি।

এছাড়াও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ইদ্রিস, তাজুল ইসলামসহ আরো অনেকে জানান, আমরা প্রতি মাসে ছয়শ টাকা দিয়ে ট্রাফিক ও থানা পুলিশের নামে একটি টুকেন ক্রয় করি সিএনজি স্ট্যান্ড এর মালিক কাজী সুমন এর কাছ থেকে। তবুও কেন ট্রাফিক পুলিশ বার বার আমাদের গাড়ি আটক করে মামলার নামে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমরা শ্রমিক মানুষ এত টাকা কিভাবে দেব। তাই ট্রাফিক পুলিশের এ হয়রানি ও চাঁদাবাজী যতক্ষণ বন্ধ না হবে। এএসপি (সার্কেল) অফিস ঘেরাও ও রাস্তা অবরোধ চলবে।

পরে স্হানীয় ছাত্র লীগের সাবেক আহবায়ক ইকবাল হোসেন রুবেল ও সিএনজি স্ট্যান্ড এর ইজারাদার কাজী সুমন ও একাধিক চালকের উপস্থিততে দেবিদ্বার এএসপি (সার্কেল) অফিসার মোঃ তারিফুজ্জামান এর নেতৃত্বে সংক্ষিপ্ত এক বৈঠকে ঘটনার সমাধান হয়। এবং চালকদের আশ্বস্ত করা হয় দ্রুত এ বিষয়টি সমাধানের।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার ট্রাফিক পুলিশের টি আই তারিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ট্রাফিক পুলিশের রোল অনুযায়ী রাস্তায় যানবাহনের কাগজপত্র সহ সবকিছু চেক করি। সঠিক কোন তথ্য না থাকলে আটক করে মামলা দেই। চাঁদাবাজী বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। সিএনজি চালকরা ট্রাফিক পুলিশের নামে ইজারাদারের কাছ থেকে ক্রয় করা টুকেনের বিষয়ে আমরা জানি না।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার এএসপি (সার্কেল) মোঃ তারিফুজ্জামান বলেন, ট্রাফিক পুলিশ তাদের রোল অনুযায়ী কাজ করছিল। তবে চাঁদাবাজী ও হয়রানী বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঘটনার বিষয়ে চালকদের সাথে কথা হয়েছে সাময়িক। খুব দ্রুত সমস্যার স্হায়ী সমাধান করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by