শিক্ষা

ঢাবির হলগুলোতে যেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে

  প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২১ , ৩:০৮:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় শুধু অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্স শিক্ষার্থীরা হলে উঠেছেন। এরপর ধাপে ধাপে অন্য শিক্ষার্থীদেরও হলে তোলা হবে।

গত শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

হলে উঠার আগেই শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার জন্য বাইরে বেসিন বসানোসহ রাখা হয়েছে সাবান। সংস্কার করা হয়েছে ওয়াশরুম ও টয়লেট। এছাড়াও নতুন করে রং করা হয়েছে অনেক হল। হলে উঠতে হলে শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ করে করোনার টিকা নেওয়ার সনদ দেখাতে হবে।

এছাড়াও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ক্যান্টিনগুলোর পরিচালক ও কর্মচারীদের টিকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাবি প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, টিকা না নিলে ক্যান্টিন পরিচালনা ও কাজ করা যাবে না। তবে শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার পর বেশ কিছু নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে-

১. কক্ষের বাইরে গেলে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়মিত ও সার্বক্ষণিক সঠিক নিয়মে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরতে হবে।

২. সাবান দিয়ে হাতধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৩. পরস্পরের কাছ থেকে কমপক্ষে ১ মিটার (৩ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

৪. কক্ষের মেঝেতে শোয়া যাবে না। এক বিছানায় একাধিক ব্যক্তি শোয়া যাবে না। কেবল আবাসিক ও বৈধ শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবে।

৫. কোনো বহিরাগত বা বাহির থেকে আসা কাউকে কক্ষে অবস্থান করতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনসাপেক্ষে কক্ষে ও কক্ষের বাহিরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

৬. শিক্ষার্থীদের কক্ষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ আশপাশ সবসময় নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং এক্ষেত্রে হল প্রশাসনও সহযোগিতা করবে।

৭. হল ডাইনিং, ক্যান্টিন, মেস, দোকান, সেলুন, টিভি রুম, অডিটোরিয়াম, অতিথিকক্ষ, পাঠাগার, মসজিদ ও উপাসনালয়ে ভিড় করা যাবে না। এসব স্থানে সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

৮. ডাইনিংয়ে একসঙ্গে খাওয়া যাবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অতিথিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ বন্ধ থাকবে।

৯. বেড়ানো ও ঘোরাঘুরি থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সভা-সমাবেশ, রেস্তোরাঁ, পার্টি ও গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে হবে।

১০. নিয়মিত ও সার্বক্ষণিক নিয়মমাফিক নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

১১. প্রবেশ-বহির্গমন পথে ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।

১২. ক্যান্টিন-ক্যাফেটেরিয়ায় একাধিক ফটক থাকলে সেগুলোর মধ্যে একটি প্রবেশের জন্য এবং অন্যটি বহির্গমনের জন্য ব্যবহার করতে হবে।

১৩. সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

১৪.ক্যান্টিন-ক্যাফেটেরিয়ায় পালাক্রমে খাবার খেতে হবে। তবে বোতলজাত পানীয় এবং ডিসপোজেবল পাত্রে খাবার সংগ্রহ করে রুমে বসে খাওয়া নিরাপদ।

১৫. একই সময়ে কর্মীদের সংখ্যা সীমিত রাখতে ১০-১৫ মিনিটের ব্যবধানসহ শিফট পরিচালনা করতে হবে।

১৬. স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ব্যবহৃত ছুরি-চামচ, খাবারের পাত্র, কাপ ইত্যাদি পুনর্ব্যবহারের আগে ডিটারজেন্ট দিয়ে যথাযথভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

১৭. দরজা ও জানালা খোলা রেখে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

এর আগে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি এবং বিজয় একাত্তরের হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে আমাদের সব হল প্রস্তুত। শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড ও টিকা কার্ড দেখে হল প্রশাসন তাদের ওঠাবে। চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্স শিক্ষার্থীদের তালিকা আইসিটি সেল থেকে প্রতিটি হল প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by