রংপুর

তিস্তার ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ইউএনও

  প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২১ , ৬:০৮:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

Exif_JPEG_420

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

রাজারহাটে তিস্তানদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার রাতে ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়ির হাটের ৩০০মিটার স্পারটির সামনের অংশ নিমিষেই ধসে পরে। পাশাপাশি বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের গাবুর হেলাল ক্রোস বাঁধটির অবশিষ্ট অংশ টুকুর দক্ষিণপাশও ধসে যায় রাক্ষুসে তিস্তা নদীর গর্ভে। গত বছর তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনে বুড়ির হাট স্পারটির পুরো অংশ তিস্তা নদীতে ভেঙে যায়। বুড়ির হাট স্পারটির ভাঙন নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সংবাদ প্রচার করলে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বুড়ির হাট স্পারটি পরিদর্শনে আসেন। তাৎক্ষণিক স্পারটি পুনঃনির্মাণে কুড়িগ্রাম পাউবিকে নির্দেশ প্রদান করেন।

গত বছর কুড়িগ্রাম পাউবি স্পারটি বালু দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করে জিও বস্তা দিয়ে বাঁধের চারপাশ বেঁধে দেন। গত কয়েকদিন থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো স্পারটির সামনের অংশ ধসে যায়। পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন বিদ্যানন্দের গাবুর হেলান ক্রোসবাধটিও গত বছর ভেঙে যায়। গত বছর মেরামত করা হলেও এবারও ক্রোসবাধ টির কিছু অংশ ধসে গেছে তিস্তার গর্ভে। বুড়ির হাট স্পারটির পাশেই বুড়ির হাট বাজারসহ একটি মসজিদ হুমকির মুখে রয়েছে এবং গাবুর হেলান ক্রোসবাধটির উপরেই একটি মসজিদসহ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকির মুখে রয়েছে। ক্রোসবাধ দুটি ভেঙে গেলে প্রায় ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার লোককে হুমকির মুখে পরতে হবে। স্থানীয়দের দাবি টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা না হলে জিও ব্যাগ দিয়ে তিস্তার ভাঙন ঠেকানো সম্ভব না। ক্রোসবাঁধ দুটির ধসে পরা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের তথ্যের প্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে তাসনিম বুড়ির হাট স্পারটি পরিদর্শন করেন।

এসময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি মাহমুদ হাসান কে নির্দেশ দেন। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে তাসনিম বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক মহাদয়ের সাথে কথা বলবো।

কুড়িগ্রাম পাউবির এসডি মাহমুদ হাসান বলেন, স্পারটি পুনঃসংস্কারের জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হবে। তবে এব্যাপারে সাংবাদিকদের সাহায্য করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ভাঙনকবলিত জায়গার মেরামতসহ জিও ব্যাগ ভর্তি করতে হবে। বালু না হলে বাঁধ রক্ষা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এসময় রাজারহাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আশিকুর মন্ডল সাবু, সাংবাদিক ইব্রাহিম আলম সবুজ, ভোরের দর্পণের রাজারহাট উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম সবুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Powered by