দেশজুড়ে

দুর্নীতির মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপের ২০, স্ত্রীর ২১ বছরের কারাদণ্ড

  প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২২ , ৪:২৩:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছর ও স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসি আবদুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, আদালত প্রদীপকে ২০ ও তার স্ত্রী চুমকিকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। পাশাপাশি ঘুষের টাকায় স্ত্রীর নামে কেনা বাড়ি, গাড়ি ও ফ্ল্যাট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রদীপ ও চুমকিকে আদালতে আনা হয়। রায় ঘোষণার পর তাদের আবারো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। প্রদীপ কারাগারে থাকলেও তার স্ত্রী চুমকি তখন পলাতক ছিলেন। গত ২৩ মে চুমকি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এর আগে, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটায় ৬ তলা বাড়ি, ষোলশহরে বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি গাড়ি, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে।

তাদের ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকা। দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও এ ব্যবসার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

এদিকে ২০২১ সালের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। মামলায় ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by