ফিচার

‘একজন অপরাজিত জেনারেল’ ইতিহাসভিত্তিক তত্ত্ব ও তথ্যের সন্ধান

  প্রতিনিধি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৮:৩১:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মশিউর রহমান রুবেল :

মো. খবির উদ্দিন আপদমস্তক মুক্তবুদ্ধি, মুক্তচিন্তার অধিকারী একজন মানুষ। যিনি তার লেখনীতে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলেছেন। সমাজ ও মানুষকে তিনি বিশ্লেষণ করেছেন পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে। তীক্ষ মেধা, বুদ্ধি ও শব্দ চয়নে তিনি খাপখোলা তলোয়ারের মতো শাণিত। লেখক হিসেবে একেবারেই অন্যরকম। ভিন্নতা রয়েছে লেখার গাথুনিতে। সত্য প্রকাশে অকুতোভয়ী ও সত্যি ‘দুর্জয় জেনারেল মো. খবির উদ্দিন’। যা কবি আসলাম সানী ‘একজন অপরাজিত জেনারেল’ বইয়ের উপক্রমনিকা উদ্দীপ্ত লেখন-এ দৃঢ়তার সাথে তুলে ধরেছেন।
ইতিহাসের এক দুর্দান্ত প্রতাপশালী জেনারেল, সর্বকালের অন্যতম সেরা বীরযোদ্ধা, ইস্কান্দার বা সেকান্দার বাদশাহখ্যাত আলেকজান্ডারকে নিয়ে বইয়ের নামকরণ করা হলেও বইটিতে লেখকের ২২টি বাছাই করা গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও নিবন্ধ স্থান পেয়েছে। যা লেখকের সীমাবদ্ধতা ও দায়বদ্ধতা থেকেই লেখা তা লেখক নিজেই বইয়ের মুখবন্ধতেই সুস্পষ্ট ও সাবলীলভাবে উল্লেখ করেছেন।
প্রবন্ধগুলো সচেতন পাঠকের জন্য সত্যিই অনন্য। ঋদ্ধ করবে যে কাউকেই। মানুষের ও নিজের প্রতিনিয়ত বদলে যাওয়ার ছাপ আছে লেখকের প্রবন্ধ গুলোতে। সাহসী ও শক্তিমান, জীবনকে ছুঁয়েছেন, দেখার ও শেখার পরিচয় দিয়েছেন তার এই বইয়ের বেশ কয়েকটি লেখায়। যদিও মো. খবির উদ্দিন-এর লেখা দ্বিতীয় বই ‘একজন অপরাজিত জেনারেল’ এটা আমার পড়া তার প্রথম বই। এর আগে গত ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম বই ‘মনসুর আলমের বোবা অঙ্ক’। যা আমার পড়া হয়ে উঠেনি।
তবে নতুন এই বইটিতে অতীত ও নিকট-অতীতের পরিবেশ, বহির্বিশ্ব, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্মতত্ত¡, সুলতানি আমল, বাগদাদি উপাখ্যান, করোনা ও সাধারণ মানুষের গল্প ইতিহাস থেকে উঠে এসেছে। বলা চলে গল্পকার বা কাহিনীকার হিসেবেও মো. খবির উদ্দিন ভিন্ন দ্যুতিতে উদ্ভাসিত। গবেষণামূলক, আত্মজৈবনিক, কলামসহ সাহিত্যের বহু শাখায় তার উজ্জ্বল বিচরণ সত্যিই প্রশংসনীয়। তার লেখনী সকল অসাম্য, শোষণ ও স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ উচ্চারণের কারণে তাকে পরিচয় করে দেবে তারুণ্যের দীপ্র প্রতীক-এ। এই কথা নির্দ্বিধায় বলতেই পারি।
স্বভাবতই যারা নিয়মিত লেখেন তারা সময় ও কাজ নিয়ে কিছু লিখে থাকেন, তবে তা পাঠকের জন্য হয়ে ওঠে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমনটি লেখক প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে কিছু ছোট ছোট ঘটনা এমনিভাবে তার তীক্ষ মেধা দিয়ে তুলে এনেছেন। তা যে কোনো শিক্ষার্থীদের জন্য কাজে আসবে। তেমনি বেশ কয়েকটি লেখাই স্থান পেয়েছে বইটিতে। তার মধ্যে অন্যতম ‘ইউ হ্যাভ লস্ট ইউর মাস্টার্স’ ও ‘তোরা পরীক্ষা দে, আমি নির্বাচন করব!’ বইয়ের ৩৩ পৃষ্ঠা থেকে ৪৪ পৃষ্ঠায় -এসব লেখার মধ্যেই লেখক তার বুদ্ধিমাত্তার পরিচয় দিয়ে তুলে এনেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম ইতিহাসও। কখন, কিভাবে, কোন প্রেক্ষাপটে জন্ম নিয়েছিল এই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। যুগের পর যুগ এখান থেকে অনেক নক্ষত্র বেরিয়েছে। যেমনটি লেখক নিজেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
রাজনীতি, পরিবেশ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বহির্বিশ্ব, ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে পরামর্শমূলক প্রবন্ধগুচ্ছ যা সময়োপযোগী ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখা। বইটি পাঁচমিশালি হলেও সব দিকেই নতুনের আবাহন। মুক্ত চিন্তার প্রকাশ, গণতন্ত্র নিয়ে ভাবনার বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে লেখকের গবেষণামূলক লেখনিতে। বইটি পড়ে মনে হলো- অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সুখপাঠ্য প্রবন্ধ লেখক তার মুন্সিয়ানার মাধ্যমে যেভাবে ইতিহাসের খুঁটিনাটি বর্ণনা করেছেন, তা পাঠকের কাছে বিরক্তির কারণ হবে না। কারণ হিসাবে লেখক তার লেখনিতে বলেছেন- ‘কালের বিবর্তনে সবকিছুর ইতিবাচক পরিবর্তন এটা খুবই স্বাভাবিক।’

গ্লোবাল ক্রাইসিস : বৈশ্বিক মন্দা ও উষ্ণতার মহাসড়কে বিশ্ব’ প্রবন্ধটি দিয়েই বইটির শুরু। যেখানে তার ক্ষুরধার লেখনিতে বিশ্ব পরিবেশ ও অর্থনীতির এপিট-ওপিট উঠে এসেছে।
‘পারমাণবিক বাকযুদ্ধ : অস্তিত্ব সংকটে মানব সম্প্রদায়’ শীর্ষক প্রবন্ধে ২৩ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখক লিখেছেন
‘পৃথিবীর বুকে মানব সভ্যতা ধ্বংসের অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ও হাইড্রোজেন বোমা। পারমাণবিক বোমার শক্তি বিশ্ববিদিত। কিন্তু তার চেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। মানবজাতির জন্য হুমকি স্বরূপ এই ইউরেনিয়াম। বিধ্বংসী হাতিয়ারগুলোর একেকটাই একটা পুরো শহরকে ধ্বংস করে দিতে পারে। হত্যা করতে পারে লাখ লাখ মানুষ। প্রাকৃতিক পরিবেশকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি এর দীর্ঘমেয়াদী ভয়ঙ্কর আগ্রাসন পরবর্তী প্রজন্মগুলোতে ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তা এক নীরব ও অদৃশ্য ঘাতক।’

সম্প্রতি পরমাণু বিজ্ঞানীদের একটি বুলেটিনের কথা উল্লেখ করে লেখক তার বইয়ের ২৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন পৃথিবীতে এখন প্রায় ১৬ হাজার ৩০০টি পারমাণবিক বোমা মজুত রয়েছে। কিন্তু ফেডারেশন অফ আমেরিকার বিজ্ঞানীদের মতে এই বোমার সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার ৬৫০টি। পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো তাদের ৯৮স্থানে এই বোমা মজুত করে রেখেছে। এর মধ্যে ১০ হাজার বোমাই সরাসরি বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৮শ পারমাণবিক বোমা সম্পূর্ণ সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। যাতে মাত্র কয়েক মিনিটের নোটিশে এই বোমাগুলো শত্রæপক্ষের উপর নিক্ষেপ করা যায়।

‘রোহিঙ্গা ও আমাদের সাহেব আলী’ শীর্ষক প্রবন্ধে রোহিঙ্গাদের কারণে দেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও পরিবেশের উপরে যে প্রভাব পড়ছে তা নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করেছেন লেখক তার অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে বইয়ের ৩০নং পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিভিন্ন বনাঞ্চলের আট হাজার একরের উপর বন উজাড় করে বসতি স্থাপন করেছে। জ্বালানি হিসাবে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে ভূমিরূপ পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্যের অবক্ষয় ঘটিয়ে যাচ্ছে। শরণার্থী রোহিঙ্গাদের আধিপত্যের কারণে কক্সবাজারের ঐসব এলাকার স্থানীয় অধিবাসীদের কর্মসংস্থান ও জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্থানীয়রা সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। ওরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্র ব্যবহার করছে। ওরা মিছিল করছে ওরা খুন করছে। ওরা জেলে যাচ্ছে।’ যা দিবালোকের মতো সত্য, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিদ্ধ করে হৃদয়। নির্ভয় উক্তি লেখকের- ‘ওরা অ্যান্টি সোশ্যাল। ওরা বিপজ্জনক।’ প্রিয় পাঠক মনে আছে লেখার প্রথমেই কিন্তু বলেছিলাম সত্য প্রকাশে অকুতোভয়ী। তীক্ষ মেধা, বুদ্ধি ও শব্দ চয়নে তিনি খাপখোলা তলোয়ারের মতো শাণিত। ভিন্নতা রয়েছে লেখার গাথুনিতে। যার জন্যই তিনি লেখক হিসেবে একেবারেই অন্যরকম।

কলামিস্ট মো. খবির উদ্দিন ১৯৭২ সালে ১ জানুয়ারি মাদারিপুর জেলার কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। উড়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার হাতে খড়ি শুরু করে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন শাস্ত্রে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী সম্পাদিত দৈনিক দেশবাংলায় যোগদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সংবাদপত্রে পথচলা। বর্তমানে আছেন দৈনিক করতোয়া’র জেনারেল ম্যানেজার ও দৈনিক ভোরের দর্পণ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে।

গবেষণা ও ইতিহাসনির্ভর বইটিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য। ক্ষুধার বিরুদ্ধে বিশ্বশক্তির লড়াই। চোরাবালির সন্ধানে মুসলিম বিশ্বের আয়েশি নেতৃত্ব। এক যুবরাজের রক্তের বদলায় রক্তাক্ত বিশ্ব। এক অতীন্দ্রিয়বাদী ধর্মতাত্তি¡ক সুফি স¤্রাট। নির্দয় চেঙ্গিস নির্মম মোঙ্গল। সবই একই মলাটে বন্দি করেছেন লেখক তার নিপুণ দক্ষতা আর মুন্সিআনায়। বাদ যায়নি অটোম্যান সাম্রাজ্যের সুলতান যিনি নিজের যোগ্যতার বলে তিনি অনেক বিশেষণ কুড়িয়েছেন। হ্যাঁ সুলতান সুলেমানের দরবারের সালতানাতের ইতিহাসও। বাগদাদি উপাখ্যানে উঠে এসেছে আইএস’র জন্মকথাও। যদিও এ প্রসঙ্গে লেখক ‘তালেবান ও আইএস এর মধ্যে আদর্শগত কতটুকু পার্থক্য তা উপলব্ধি করা মুশকিল’ বলে উল্লেখ করেছেন। বইয়ের ৮৫ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখক উল্লেখ করেছেন- ‘আজ অশান্তির দাবানলে গোটা মুসলিম বিশ্ব আক্রান্ত। ইহুদি তথা বাগদাদির খলিফারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিতর্কিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের পেছনে মদত দিচ্ছে।’
ইতিহাস না জেনে, ইতিহাস বিকৃত করে, ইতিহাস ফাঁকি দিয়ে আমরা বড় গলায় বড়াই করতে পছন্দ করি। কিন্তু সঠিক ইতিহাস জানার আগ্রহই বা আছে কতটুকু। সেটা না হয় বিবেকের কাছেই রইল। কথাটা বললাম এই কারণে যে ‘নির্দয় চেঙ্গিস নির্মম মোঙ্গল’ প্রবন্ধে ১১৪ পৃষ্ঠায় লেখক যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব নিঙ্কয়েনের গবেষকদের পরিচালিত এক গবেষণার কথা উল্লেখ করে সেখানে দাবি করা হয় ১৩ শতকের রক্তাক্ত আগ্রাসন নয় বরং শুষ্ক আবহাওয়াই মধ্য এশিয়ার নদী তীরবর্তী মধ্যযুগীয় বিলুপ্তির জন্য দায়ী। ওই গবেষণায় আরো বলা হয় বিশ্বের প্রায় এক চতুর্থাংশ ভূমি মোঙ্গল সাম্রাজ্য  অধীনে চলে আসে। মঙ্গল সাম্রাজ্যই নিকট ইতিহাসের পৃথিবীর সর্বশেষ অবিচ্ছন্ন স্থলসাম্রাজ্য। ধারণা করা হয়, বিভিন্ন দেশ ও রাজ্য দখলে গিয়ে মোঙ্গল সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনী ৪ কোটি মানুষকে হত্যা করে। এই কারণেই ইতিহাসের নৃশংসতা, ভয়াবহতা ও রক্তপাতের প্রতিশব্দ হিসেবেই পরিচিত চেঙ্গিস খান।
করোনা ভাইরাসকে লেখক ‘অদৃশ্য ডিভাইস’ আখ্যা দিয়ে ১৩৫ পৃষ্ঠায় ‘মানব সম্প্রদায় ভয়ানক গিরিখাদের দ্বারপ্রান্তে’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন ‘মানব সম্প্রদায়ের দাম্ভিকতা আজ ভূলণ্ঠিত। এটা কোন বিশ্বযুদ্ধ নয়। নয় কোন রাসায়নিক আক্রমণ। তারপরও গোটা পৃথিবী আজ পিনপতন নীরবতায় আচ্ছাদিত। এই অদৃশ্য শক্তির এক একটা ঢেউ যেন এক একটা সুনামি হয়ে আসছে পড়ছে এক একটা দেশের ভূখণ্ডে। পালাবার সমস্ত পথগুলো চোরাবালিতে ছেয়ে গেছে।’
১৩৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেন আল্লাহ মানব সৃষ্টির পরে বিভিন্ন নবী রাসুলের সময় পথভ্রষ্টদের সঠিক পথে আনয়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের মহামারী দিয়ে সঠিক রাস্তায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। এই ইতিহাসগুলো আমাদের হয়তো সকলের জানা আছে বলে উল্লেখ করেছেন।
বইয়ের শেষ অর্থাৎ ১৫৩ নম্বর পৃষ্ঠায় ইতিহাসের এক দুর্দান্ত প্রতাপশালী জেনারেল সর্বকালের অন্যতম সেরা বীরযোদ্ধা আলেকজান্ডার তার শিক্ষাগুরুকে কতটুকু পছন্দ করতেন তা বলতে গিয়ে লিখেছেন- আলেকজান্ডার তার শিক্ষাগুরু এরিস্টটলকে এতটাই শ্রদ্ধা করতেন যে তিনি গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘জীবন পেয়েছি পিতার কাছে। কিন্তু সেই জীবনকে কি করে সুন্দর করতে হয় সে শিক্ষা পেয়েছি গুরুর কাছে।’ স্যালুট আলেকজান্ডার। অথচ সে আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর তার কোন যোগ্য উত্তরসূরী ছিল না। যার কারণে শুরু হয় নানা বিভাজন। টুকরো টুকরো হয়ে যায় সাম্রাজ্য । সামরিক দক্ষতা ও বীরত্বপূর্ণ জীবনের মাধ্যমে নিজেকে একজন কিংবদন্তি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন জেনারেল আলেকজান্ডার। আর এই লাইনটির মধ্য দিয়ে দক্ষতার সাথে বইটির ইতি টানেন ‘দুর্জয় জেনারেল’ মো. খবির উদ্দিন। বইটির জন্য শুভকামনা রইল। আশা করি বইটি পাঠকপ্রিয়তা পাবে। যারা ইতিহাস, ঐতিহ্য জানার আগ্রহে অনুসন্ধানী মন খুঁজে বেড়ায় সেই সব পাঠকের মনের খোরাক জোগাতে সক্ষম হবে এই বইটি। বইয়ের জন্য লেখকের নিরলস পরিশ্রম সত্যি জ্ঞানান্বেষণকারীদের কাজে আসবে। ঠিক তখনই সার্থকতা খুঁজে পাবেন লেখক।

এক অপরাজিত জেনারেল
মো. খবির উদ্দিন
প্রকাশ: ২০২৩ একুশে গ্রন্থমেলা।
প্রকাশক: শব্দকোষ প্রকাশনী।

 

Powered by