বাংলাদেশ

দেশে দুটি জ্বালানি তেল শোধনাগার আছে: নসরুল হামিদ

  প্রতিনিধি ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ , ৯:০৭:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

দেশে দুইটি জ্বালানি তেল শোধনাগারের মধ্যে একটি সরকারি এবং অপরটি বেসরকারি বসুন্ধরা গ্রুপের। এই দুই প্রতিষ্ঠানে দুই ধরনের তেল পরিশোধন করা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সংসদে আওয়ামী লীগের সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই তথ্য জানান তিনি।

নসরুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি জ্বালানি তেল শোধনাগার রয়েছে। এই জ্বালানি তেল শোধনাগার দুটির একটি হলো সরকারি তেল শোধনাগার, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) শতভাগ মালিকানাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। আরেকটি হলো বেসরকারি তেল শোধনাগার, বসুন্ধরা অয়েল অ্যান্ড গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (বিওবিসিএল) অধীন বসুন্ধরা বিটুমিন/অ্যাসফল্ট প্রোডাকশন প্ল্যান্ট।

তিনি বলেন, ইআরএলে সাধারণত দুই ধরনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিশোধন করা হয়ে থাকে। যথা- অ্যারাবিয়ান লাইট ক্রুড অয়েল (এএলসি) ও মারবান ক্রুড অয়েল (মারবান)। অন্যদিকে বসুন্ধরা বিটুমিন/অ্যাসফল্ট প্রোডাকশন প্ল্যান্টে বিটুমিনাস ক্রুড অয়েল পরিশোধন করা হয়ে থাকে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে ১৬টি বেসরকারি ফ্র্যাকশনেশন প্ল্যান্ট/রিফাইনারি রয়েছে। এর মধ্যে চারটি ক্যাটালাইটিং রিফর্মিং ইউনিট (সিআরইউ) প্ল্যান্ট, ১২টি নন ক্যাটালাইটিং রিফর্মিং ইউনিট (নন সিআরইউ) প্ল্যান্ট। সিআরইউ প্ল্যান্টগুলোতে কনডেনসেট/ ন্যাফথা এবং নন সিআরইউ প্ল্যান্টসমূহে ডিজেল রিড কনডেনসেট পরিশোধন করা হয়ে থাকে।

চারটি ক্যাটালাইটিং রিফর্মিং ইউনিট প্ল্যান্টের মধ্যে রয়েছে- পারটেক্স পেট্রো লিমিটেড, পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড, সুপার পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড ও অ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেড।

১২টি নন ক্যাটালাইটিং রিফর্মিং ইউনিট প্ল্যান্টের মধ্যে রয়েছে- সুপার রিফাইনারি (প্রা.) লিমিটেড, অ্যাকোয়া মিনারেল টারপেন্টাইন অ্যান্ড সলভেন্টস প্ল্যান্টস লিমিটেড, পিএইচপি পেট্রো রিফাইনারি, সিনথেটিক রেজিন প্রোডাক্টস্ (প্রা.) লি., জেবি রিফাইনারি লি., ইউনিভার্সেল রিফাইনারি (প্রা.), রূপসা ট্যাংক টার্মিনালস অ্যান্ড রিফাইনারি লি., সিভিও পেট্রোক্যামিকেল রিফাইনারি লি., লার্ক পেট্রোলিয়াম কোম্পানি লি., গোল্ডেন কনডেনসেট অয়েল রিফাইন ফ্যাক্টরি লি., চৌধুরী রিফাইনারি লি. ও কার্বন হোল্ডিং লি.।

জাতীয় সংসদে নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৪ বছরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আওতায় ৪০ হাজার ৯২টি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৪ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by