দেশজুড়ে

নিষিদ্ধ ১২টি শাপলাপাতা মাছ বিক্রি হলো লাখ টাকায়

  প্রতিনিধি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৬:২৭:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নিষিদ্ধ ১২টি শাপলাপাতা মাছ বিক্রি হলো লাখ টাকায়

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে নিষিদ্ধ ১২টি শাপলাপাতা মাছ এক লাখ ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে মাছগুলো উপজেলার হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাটের মৎস্য আড়তে বিক্রি করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের মোহাম্মদ মনির নামে এক মাঝি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গেলে তার জালে ৮টি শাপলাপাতা মাছ ধরা পড়ে। পরে সোমবার সকালে চেয়ারম্যান ঘাটের সাদিয়া ফিশ এজেন্সির মৎস্য আড়তে বিক্রির জন্য তোলেন। নিলামে মাছুগুলো এক লাখ আট হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মাছগুলো এক নজর দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় উৎসুক জনতা।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে মাছ কিনতে আসা নুর মোহাম্মদ মনু বলেন, আমি চেয়ারম্যান ঘাটে মাছ কিনার জন্য গিয়েছিলাম। আমি কখনো শাপলাপাতা মাছ দেখি নাই।  একসাথে এতগুলো শাপলাপাতা মাছ দেখে আমি অবাক হয়েছে। 

মনির মাঝি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সাগরে মাছ ধরি কিন্তু কখনো এতগুলো শাপলাপাতা মাছ পাইনি। এত মাছ আমার জালে এই প্রথম ধরা পড়ল। আমি চেয়ারম্যান ঘাটের সাদিয়া ফিশ এজেন্সিতে ১ লাখ ৮ হাজার টাকায় মাছগুলো বিক্রি করেছি।

সাদিয়া ফিশ এজেন্সির মালিক মো. সালাউদ্দিন বলেন, আজ থেকে ৩-৪ দিন আগে গভীর সাগরে মনির মাঝির জালে ১২টি শাপলা পাতা মাছ ধরা পড়ে। স্থানীয়ভাবে এটিকে হাউস মাছ বলা হয়। এর পর সোমবার সকালে তারা চেয়ারম্যান ঘাটে ফিরে আসেন। এর মধ্যে একটি শাপলা পাতা মাছ ছিল ৫৯ কেজি এবং আরেকটি ছিল ৪৮ কেজি ওজনের। এ দুটি মাছ ১৬ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করা হয়। বাকি মাছগুলো গড়ে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজু চৌধুরী বলেন, সমুদ্রে শাপলাপাতা মাছটি পাওয়া যায়। এই মাছ ধরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে নিষিদ্ধ। কারণ সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by