বরিশাল

নেই এক্স-রে মেশিন চালানোর লোক, চিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত দৌলতখানের মানুষ

  প্রতিনিধি ৯ জুন ২০২২ , ৭:২১:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

দৌলতখান প্রতিনিধিঃ

ভোলার দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন ও ডেন্টাল ইউনিট থাকলেও চিকিৎসক নেই দীর্ঘ দিন ধরে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে এক্সে-রে কার্যক্রম ও দাঁতের রোগীদের চিকিৎসা সেবা। দৌলতখান হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন ও ডেন্টাল চিকিৎসক না থাকায় আগত রোগীরা সু-চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বাইরের চিকিৎসকের কাছে।

উন্নতমানের এক্স-রে ও দাঁতের চিকিৎসা করাতে দ্বিগুণ অর্থ খরচ করতে হয় রোগীদের। রোগীদের বেহাল অবস্থা নিয়ে দৌড়াতে হচ্ছে উপজেলা ও জেলা সদরের বিভিন্ন প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। অনেক সময় দূর-দূরান্তে গিয়ে সাধারণ রোগীরা বেশি টাকা ব্যয় করে এক্স-রে ও দাঁতের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। আর কত দিন পর এক্স-রে মেশিন ও ডেন্টালের চিকিৎসা পাবে এ প্রশ্ন দৌলতখানবাসীর।

ভোলা সদর উপজেলার রাবেয়া বেগম নামের এক গৃহবধূ বলেন, আমার বাবার বাড়ী দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নে। আমার দুই সন্তান। গত রোজার ঈদের পরে আমি বাবার বাড়ীতে বেড়াতে যাই। এ সময় হঠাৎ আমার ছোট ছেলে ঠান্ডা জনিত কারণে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তখন তাৎক্ষনিকভাবে আমি ছেলেকে নিয়ে দৌলতখান হাসপাতালে যাই। সেখানকার কত্যর্বরত চিকিৎসক আমার ছেলের বুকের একটি এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন।

কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন থাকলেও সেটা আমাদের কোন কাজে আসনি। আমাকে বাধ্য হয়ে বাহিরে এক্স-রে করাতে হয়েছে। এতে আমাদের যেমন বেশি টাকা খরচ হয়েছে। তেমনি পোহাতে হয়েছে অনেক ভোগান্তি। আমাদের মত সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত দৌলতখান হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনটি সচল করার দাবী জানাচ্ছি।
এতে করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভোগান্তি কমবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২০ সালে একটি এক্স-রে মেশিন দেয়া হয় । কিছুদিন কার্যক্রম চললেও তারপর থেকে টেকনিশিয়ানের অভাবে সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে দৌলতখান হাসপাতালে ডেন্টাল চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে ডেন্টাল রুমে তালা ঝুৃলছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে এক্সে-রে কার্যক্রম ও দাঁতের রোগীদের চিকিৎসা সেবা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, ‘টেকনেশিয়ান না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি চালু করা যাচ্ছে না। তাছাড়াও দৌলতখান হাসপাতালে ডেন্টাল চিকিৎসক নেই। এসব বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিটি পাঠানো হয়েছে। তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by