চট্টগ্রাম

পটিয়ার নিখোঁজ জাহাঙ্গীরের লাশ মিললো রাঙ্গুনিয়ায়

  প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২৩ , ৬:০৪:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো :

চট্টগ্রামের পটিয়ার নিজ বাড়ী থেকে বের হওয়ার দু’দিন পর রাঙ্গুনিয়ায় মিললো মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ। নিহত জাহাঙ্গীর পটিয়া উপজেলার মনসা এলাকার জহির আহমদের ছেলে। মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় মুঠোফোনে একটি কল পেয়ে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। এরপর থেকে তার মুঠোফোন ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জানা গেছে, বুধবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সৈয়দ সেলিমা কাদের চৌধুরী কলেজের পাশ থেকে গলাকাটা অবস্থায় পেয়ে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক চিকিৎসার জন্য চুয়েট মেডিক্যালে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে যায়। কিন্তু মেডিকেলে পৌঁছার আগেই সে মারা যায়। পরে লাশটি চুয়েট গেইটের সামনে রাখা হলে উৎসুক জনতা ভীড় করতে থাকে। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করেন। পরে মরদেহটি বেওয়ারিশ হিসেবে আঞ্জুমানে মুফিদুল লাশটি দাফন করে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ‘গত ৬-৭ বছর আগে পটিয়া উপজেলার ইশ্বরখাইন এলাকার ইয়াছমিন আকতারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চটপটি বিক্রেতা জাহাঙ্গীরের। তাদের দাম্পত্য জীবনে কোল জুড়ে জন্ম নেয় এক মেয়ে সন্তান। বিয়ের ২-৩বছর পর স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। গত দুই তিন বছর আগে বাপের বাড়িতে চলে যান ইয়াছমিন আকতার। মাঝে মধ্যে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গেলেও উশৃঙ্খল আচরণ করে আবার বাপের বাড়িতে চলে যেতেন। পরকীয়া আসক্ত স্ত্রী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

একসময় কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে জাহাঙ্গীরের হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে গিয়েছিলো প্রায় একযুগ আগে। সেই থেকে জাহাঙ্গীর ভ্যানে করে চটপটি বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করতো। তার কাটা আগুল দেখেই পরিবার লাশ সনাক্ত করে।

এ প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন চক্রবর্তী বলেন, আমরা ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লাশটি যে জাহাঙ্গীরের তা বলা যাচ্ছে না। তবে লাশটি নিখোঁজ থাকা জাহাঙ্গীরের এমন দাবি নিয়ে পটিয়া থেকে একটি পরিবার এসেছিল। তারা নিখোঁজ থাকা জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তির লাশ বলে দাবি করছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by