দেশজুড়ে

পর্নোগ্রাফি দেখার সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ এখন মানসিকভাবে অস্থির

  প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২১ , ১:৫৪:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

‘আমরা একটা দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের মানসিক একটা পরিবর্তন হচ্ছে। করোনার কারণে এ পরিবর্তন আরও বেশি হয়েছে কারণ বাইরে যাওয়ার সুযোগ কমে গেছে।

ফলে মানুষ ঘরমুখী হয়েছে। এতে পর্নোগ্রাফি দেখার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে মানুষ এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে খুব অস্থির।’ নারীপক্ষ’-এর সদস্য ও নারীনেত্রী রেহানা সামদানী গতকাল এসব বলেন। তিনি বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ কমানোর শাস্তি মৃত্যুদন্ড হতে পারে না। ধর্ষণ এক ধরনের সামাজিক ব্যাধি ও মানসিক অসুস্থতা। সবার হাতে এখন মোবাইল ফোন আছে। রাতে কর্মক্ষেত্র থেকে যখন আমি বাড়ি ফিরি দেখি আমার বাসার সামনের বাড়ির সিকিউরিটি গার্ডের ছেলেরা একসঙ্গে বসে কিছু একটা দেখছে। যেহেতু তাদের পর্নোগ্রাফি দেখার সুযোগ রয়েছে, এ থেকে তাদের মধ্যে এক ধরনের শারীরিক আকুতি তৈরি হয়। আর তা মেটাবার জন্য তারা সুযোগ খোঁজে। রেহানা সামদানী বলেন, ধর্ষণের মতো অপরাধ প্রতিরোধে স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গায় এক ধরনের সচেতনতা তৈরি করতে হবে। শুধু মৃত্যুদন্ড ও শাস্তি দিয়েই এ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে এখন কিশোরদের এক ধরনের মানসিক শিক্ষার প্রয়োজন। আর এ সহযোগিতা যে যার জায়গা থেকেই করা উচিত। এ দায়িত্ব রাষ্ট্রের একার নয়। এ ছাড়া শিশু-কিশোরদের পাঠ্যপুস্তকে প্রজননস্বাস্থ্য বিষয়ে যে অধ্যায়গুলো আছে তা ঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় না। অনেক শিক্ষক এটা কীভাবে পড়াতে হয় তাও জানেন না। এ জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দরকার। তখন স্কুল-কলেজে শিক্ষাকালীন যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে সেগুলো কমে আসবে।

Powered by