প্রতিনিধি ১৪ আগস্ট ২০২০ , ৬:২৯:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : জয়পুরহাটে পাঁচবিবি পৌর শহরের মৃত ডা. সাইদুর রহমানের ছেলে রবিউল আলম লিটনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (২২) কে জামাই কর্তৃক হত্যা করা হয়। এবিষয়ে থানায় হত্যা মামলা হলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অবিলম্বে মেয়ে হত্যার আসাদিরে গ্রেফতার করে আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচারের আশায় পরিবারের লোকেরা শুক্রবার দুপুরে পাঁচবিবি প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলেন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের বাবা লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২০১৩ সালে উপজেলার রামনগর কড়িয়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে জনির সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক লোভী জামাই’র পরিবার পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। মেয়ে-জামাই ও একমাত্র নাতির সুখের কথা চিন্তা করে আমি জামাইকে পাঁচবিবি শহরে একটি কাপড়ের দোকান করে দেই এবং কাদেরপাড়ায় আমার নিজের অপর একটি বাড়িতে তাদেরকে থাকার ব্যবস্থা করে দেই। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, গত ৬ই আগষ্ট রাতে আবারও যৌতুকের পাঁচ লক্ষ টাকার জন্য মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে। মেয়ে গলায় ফাঁস নিয়েছে বলে জামাই আমাকে ফোনে জানায়। এসময় মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আমার মেয়ে সুমাইয়া মারা যায়। মেয়ে হত্যা ঘটনায় আমি বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় জামাই জনি ও তার ছোট ভাই মেহেদী হাসানকে আসামি করে গত ১০ আগষ্ট একটি হত্যা মামলা দায়ের করি (মামলা নং-১১/৩৭৫)। মামলা করার পর থেকে আসামিরা ও তাদের একটি পক্ষ মামলা তুলে নিতে মুঠোফোনে আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমি এ হত্যাকান্ডের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন ও সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনসুর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামি গ্রেফতারের জোড় তৎপরতা চলছে।