প্রতিনিধি ৩০ আগস্ট ২০২৩ , ৬:৪২:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
পাঁচ বছর ধরে উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় বেহাল দশা হয়ে হাটহাজারীর একটি সড়কে জনভোগান্তি বেড়েছে। উপজেলার ৯ নং গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ফজলুল হক সড়কের কিছু অংশ তুলাতল হতে সুইস গেট পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার মিটার রাস্তা দীর্ঘদিনও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে তাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া মহাদেশের অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে যাওয়ার অন্যতম সড়ক এটি। বছরে প্রায় সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় প্রশাসনের সবাই এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু পাঁচ বছর পার হলেও কারো চোখে পড়েনি এই সড়কটির বেহাল দশা। রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী বেশ কয়েকজন জানান, রাস্তাটি প্রায় দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে আমরা এলাকাবাসীরা অনেক দুর্ভোগকে পড়েছি বিশেষ করে বর্ষাকাল আসলেই দুর্ভোগ যেন আরো চরমে পৌঁছাই। বর্ষাকাল আসলেই এখানে কাদায় পরিণত হয়। এই সময় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় এলাকার গর্ভবতী কোন মহিলা কিংবা কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক কষ্টে পড়তে হয়।
স্থানীয় অটো রিক্সা চালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, মোঃ পারভেজ, মোঃ মুন্না, মোঃ সাদ্দাম জানান, বর্ষাকাল আসলেই এ রাস্তাতে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। কিন্তু মাঝেমধ্যে অনেক অসুস্থ ব্যক্তি বা বৃদ্ধ মানুষজন হেঁটে যেতে না পারলে কষ্ট করে গাড়ি নিয়ে এই কাদা দিয়ে খেলে অনেক সময় গাড়ি আটকে গেছে যা এলাকার চার পাঁচ জন ব্যক্তি এসে ধাক্কা দিয়ে তোলা হয়েছে।আমরা আশা করছি দ্রুত যদি এই সড়কটির কাজ সম্পন্ন হয় আমাদের যেমন সুবিধা হবে তেমনি স্থানীয় ভোগান্তিতে পড়া এলাকাবাসীর শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
এ বিষয়ে গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার মোরশেদ তালুকদার বলেন সড়কটি সংস্কারের জন্য ইতিপূর্বে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জমা দিয়েছি। অনুমোদন হয়ে আসলে সড়কটির কাজ করা হবে ।
হাটহাজারী উপজেলা প্রকৌশলী জয়শ্রী দে বলেন , ফজলুল হক সড়কের কার্পেটিং করা পর্যন্ত সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, অবশিষ্টাংশে ইটের ডবল সোলিং জানা আছে, তারপর আর কিছু ব্যাপারে আমার জানা নাই। স্থানীয়দের দাবীর কারণে জনপ্রতিনীধিরা জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে ।