প্রতিনিধি ৯ জানুয়ারি ২০২৪ , ৭:৫৩:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ
খুলনার পাইকগাছার গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদ ও পরিষদ সংলগ্ন কবরখানার বাঁশের ঘেরা-বেড়া তুলে ফেলে দেওয়ায় করবখানার পবিত্রতা রক্ষা ও পরিষদের নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার ইউনিয়নের কতিপয় লোকজন বাঁশের ঘেরা-বেড়া তুলে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার গড়ইখালী বাজার থেকে শুড়িখালী অভিমুখে প্রধান সড়কের পাশে ফকিরাবাদ মৌজায় গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং পরিষদের পূর্বপাশে পরিষদের একটি জলাশয় তার পূর্বপাশে ২ বিঘা জমির উপর কবরখানা রয়েছে। পরিষদ এবং কবরখানা দুটোই দানীয় সম্পত্তির উপর। কবরখানার পবিত্রতা রক্ষা সহ এর সার্বিক তত্বাবধায়ন করে থাকে ইউনিয়ন পরিষদ।
কবরখানার পবিত্রতা রক্ষার্থে ও পরিষদের নিরাপত্তার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পরিষদের পূর্বপাশে একটি বাঁশের ঘেরা-বেড়া দেওয়া হয়। এর ফলে অবাধে কোন গবাদি পশু এবং সাধারণ মানুষ কবরখানা এবং পরিষদ এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু গত সোমবার ইউনিয়নের কতিপয় লোকজন পরিষদের পূর্বপাশের বাঁশের ঘেরা-বেড়াটি তুলে পাশে মাসুম গাজীর বাড়ীর এলাকায় ফেলে দেয়।এছাড়া তারা পরিষদের জলাশয় থেকে মাছও ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু। আর এ বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার , সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) ও ওসি পাইকগাছা কে অবহিত করা হয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর গাউসুল করিম সরদার জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন থানা পুলিশ। ঘেরা-বেড়াটি তুলে দেওয়ায় কবরখানার পবিত্রতা নষ্ট হবে বলে ওই এলাকার বাসিন্দা সুরমান সানা জানান।
ইউনিয়ন পরিষদ ও কবরখানার এলাকায় পরিষদ এবং কবরখানার জমি ছাড়া অন্যকোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা যাতায়াতের কোন আলাদা জমি নাই বলে চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু জানান।তিনি বলেন ঘেরাটি তুলে দেওয়ায় পরিষদে নিরাপত্তা জনিত ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এ বছর বিভিন্ন ফলজ ও বনজ প্রজাতির গাছের চারা লাগানো রয়েছে। এ গাছগুলোকে গবাদি পশু থেকে রক্ষা করার জন্য ঘেরাটি জরুরী হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক কৃষকলীগনেতা কামরুল ইসলাম গাইন তার নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সুপেয় পানির জন্য স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করা হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।এ ব্যাপারে থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দু’একদিনের মধ্যে প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ একটি সমাধান করা হবে।