দেশজুড়ে

পাইকগাছায় নির্মাণাধীন রাস্তার কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার, চরম দুর্ভোগে মানুষ

  প্রতিনিধি ৬ আগস্ট ২০২৩ , ৬:৫৯:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

পাইকগাছায় নির্মাণাধীন রাস্তার কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার, চরম দুর্ভোগে মানুষ

পাইকগাছায় এক কিলোমিটার রাস্তা খুড়ে বালি দেয়ার পর কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে হাজার হাজার মানুষের চলাচলসহ স্কুলগামী শিশুরা পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়।

পাইকগাছা উপজেলা প্রোকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগ পল্লী উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প আওতায় উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মঠবাটি গ্রামের সাকাত মাষ্টারের বাড়ি থেকে জামাল নায়েব এর বাড়ি পযন্ত ১ কিলোমিটার পিচের রাস্তা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৯৪,০৬,৮১৯ টাকায় জয়মা এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৩০ জুন ২০২২ তারিখ কার্যাদেশ পান। ৭জুলাই ২২ তারিখ রাস্তার ইট তুলে বালি ভরাটের জন্য খননকাজ শুরু করা হয়। অল্প সময়ে খনন কাজ শেষ হলেও বালি ভরাট না করে প্রায় ৬মাস ফেলে রাখা হয়।

স্থানীয়দের চাপে বালি ভরাট কাজ শুরু করলেও শেষ না করেই পালিয়ে যান ঠিকাদার।বৃষ্টির মৌসুমে খুড়ে রাখা মাটি ও বালি মিশে রাস্তা চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্কুলগামী শিশুসহ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল করতে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

গত ৩০ মে ২০২৩ তারিখ কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। মঠবাটী গ্রামের সাবেক ব্যাংকার প্রজিৎ কুমার রায় জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালির কারনে গ্রামের মানুষের চলাচলে খুব সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, রাস্তা খুড়ে রাখার কারনে এলাকার মানুষের চলাচল মারাত্বক বিঘ্নিত হচ্ছে। আমি নিজেও ঠিকাদারকে কয়েকবার বলেছি দ্রুত কাজটি শেষ করার জন্য কিন্তু এখন ঠিকাদারের কোন খোজ নেই।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জয়মা এন্টারপ্রাইজ এর মালিক তাপস ঘোষ জানান, কাজটি শেখ হাসনাত নামে একজনকে সাব কন্ট্রাক্টে দিয়েছিলাম সে কাজটি না করে ফেলে রেখেছে বিষটি আমি জেনেছি। তার সাথে যোগাযোগ করে কাজটি দ্রুত আবার শুরু করার চেষ্টা করছি।

উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান খান জানান ঠিকাদার কে বারবার বলা সত্ত্বেও কাজ করাতে পারছিনা। কয়েকবার তাদের চিঠি দিয়েছি তার পরেও তারা কাজ করছেনা। ইতিমধ্যে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। কার্যাদেশ বাতিল ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভূক্ত করার জন্য নির্বাহী প্রোকৌশলীর নিকট চিঠি পাঠিয়েছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by