ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বাজার কমিটির তরফ থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের এ বিষয়ে তাগাদা দিলেও কাজে আসছে না। ফলে চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণে থাকা এ উপজেলায় করোনার দাপট আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত দুইদিনে নতুন করে আরও ৮১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন সরকারি নিয়ম না মেনে এভাবে পশুর হাট চলতে থাকলে ঈদুল আযহা পরবর্তী এ উপজেলার করোনা পরিস্থিতি খুবিই ভয়াবহ হতে পারে।
উপজেলা সদর বিবিরহাট, নাজিরহাট, চামার দিঘিসহ বিভিন্ন হাটবাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গাদাগাদি করে ক্রেতা-বিক্রেতারা পশু বেচাকেনা করছে। বেশিরভাগ লোকজনের মুখে মাস্ক নেই। বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উপজেলা ও থানা প্রশাসনের কোন টিম চোখে পড়েনি।
হাটে গরু নিয়ে আসা খামারি আব্দুর রশিদ বলেন, মাস্ক দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু গরমে মুখে মাস্ক রাখা যাচ্ছে না। তাই পকেটে রেখে দিয়েছি। তাছাড়া বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই।
এদিকে, বাজারে প্রচুর পশুর সরবরাহ ও লোকজনের ভিড় থাকলেও বিক্রি খুব একটা নেই। বাজারে আসা লোকজনকে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। পশু সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও বিক্রি কম বলে স্বীকার করেছেন বেপারিরা।
হাটের ইজারাদার আলমগীর আলম বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশু বেচাকেনা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছি। এছাড়া স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। মাইকিং করে মাস্ক পরে ও নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। তারপরও লোকজন পুরোপুরি নিয়ম মানছে না বলে স্বীকার করেন তিনি।
এম.জুনায়েদ